গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে ও গতরাতে ডেমরার ডগাইর জিরো পয়েন্টে,বনানীর মহাখালী সেতু ভবনের সামনে এবং মুগদা থানার টিটিপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কলেজ শিক্ষার্থী শাকিল রাব্বী (২৪), আবু সাহাদত মো. সায়েম (৩৭) ও নাজমা বেগম (৪১)। আজ ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া দুর্ঘটনায় তাদের বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা আছে।
ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম জানান, বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ডেমরা থানার ডগাইর জিরো পয়েন্ট শাপলাচত্বরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আবু সাহাদত মো. সায়েম গুরুতর আহত হন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর দেড়টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, ট্রাকচালক বাবর আলীকে (৩৩) আটক করেছে পুলিশ। ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে।
নিহত সায়েমের দুলাভাই সোহেল চৌধুরী জানান, সায়েম স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে ডেমরার সারুলিয়া আইডিয়াল রোডে নিজের বাড়িতেই থাকতেন। তিনি প্যাসিফিক মেডিসিন কোম্পানির সিনিয়র মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার রামপুর বাজার গ্রামের মহসিন ভূঁইয়ার পুত্র। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বোরহান উদ্দিন জানান, কলেজ শিক্ষার্থী শাকিল রাব্বী মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে বনানী থানার মহাখালী আমতলী সেতু ভবনের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইজার (আইল্যান্ডের) সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় তার মাথা থেতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই শাকিলের মৃত্যু হয়। তিনি রাজধানীর একটি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আক্তার জানান, মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে মুগদা থানার টিটিপাড়া মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নাজমা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্য রাতে তিনি মারা যান। নাজমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার রাজারচর গ্রামের আব্দুর রহিম মুন্সির স্ত্রী।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পরপরই ঘাতক চালক সোহেল রানা (৪১)কে আটক ও গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত নাজমার মেয়ে পূর্ণিমা আক্তার জানান, তার মা গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। বাবার সঙ্গে রাগ করে ঢাকায় আসেন। গত রাতে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাই মুগদা হাসপাতালে মা মারা গেছেন।
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।