করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে এখনো বের হতে পারেনি বিশ্ব। এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছে মাঙ্কিপক্স। এতে আরও এক মহামারির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশ্বে। তবে তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) বলছে, মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাব মহামারিতে রূপ নেবে না। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। ডবিøউএইচও’র মাঙ্কিপক্স বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. রোসামুন্ড লুইস বলেছেন, তিনি এমন আশা করেন না যে এখন পর্যন্ত পাওয়া শত শত রোগী থেকে এটি আরেকটি মহামারিতে পরিণত হতে পারে। তবে রোগটি সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে রোগটি আসলে ঠিক কীভাবে ছড়ায় এবং কয়েক দশক ধরে গুটিবসন্তের গণটিকা কার্যক্রম বন্ধ রাখায় মাঙ্কিপক্সের বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে কি না সে বিষয়গুলোও গবেষণা করে দেখতে। সোমবার এক উন্মুক্ত সভায় তিনি বলেন, ১২টিরও বেশি দেশে যেসব রোগী পাওয়া গেছে তাদের অধিকাংশই সমকামী, উভকামী বা এমন পুরুষ যারা অন্য পুরুষদের সাথে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তাই এই বিষয়ে জোর দেওয়া খুবই প্রয়োজন যেন বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে আরও গবেষণা করতে পারেন। ঝুঁকিতে থাকা মানুষজন সতর্ক হতে পারে। ওয়াশিংটন লুইস মাঙ্কিপক্স বিষয়ে ডবিøউএইচও’র টেকনিক্যাল লিডার। তিনি বলেন, এটি ব্যাখ্যা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে সংক্রমণের মাধ্যম বৃদ্ধি পেয়েছে, যেই বিষয়টা এর আগে পুরোপুরি লক্ষ্য করা হয়নি। তবে তিনি সতর্ক করেছেন যে, কারো যৌন চাহিদা যাই হোক না কেন, যে কেউই সম্ভাব্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, এটা একটা কাকতালীয় বিষয়ও হতে পারে যে রোগটি শুরুতে সমকামী ও উভকামী পুরুষদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারা বলেন, দ্রæত রোধ করা না হলে রোগটি দ্রæতই অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ডবিøউএইচও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আগে মাঙ্কিপক্সের রোগী ছিল না এমন ২৩টি দেশে আড়াই শতাধিক রোগীর খবর জানা গেছে। লুইস জানান, এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে মাঙ্কিপক্স যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে ছড়াচ্ছে নাকি যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু সংস্পর্শের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষদের জন্য এর ঝুঁকিকে ‘কম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্ট।