Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিজেপি মন্ত্রীর গাড়িতে ৯১ লাখ টাকার বাতিল নোট

টাকা উদ্ধারের খবর শুনে প্রচন্ড চটেছেন নরেন্দ্র মোদি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:১৮ পিএম

ভারতে কালো টাকার মালিকদের ধরার জন্য জাল পেতেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মাদি-অরুণ জেটলিরা। সেই জালে প্রথম যে রাঘববোয়াল ধরা পড়লেন তিনি হচ্ছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারেরই সমবায় মন্ত্রী। অন্য দিকে নরেন্দ্র মোদি তার ঘনিষ্ঠদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই নোট বাতিল করেছেন বলে দাবি করেছেন তারই প্রাক্তন সহযোগী যতীন ওঝা। মহারাষ্ট্রের সমবায় মন্ত্রী সুভাষ দেশমুখের গাড়ি থেকে গত শুক্রবার ৯১ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫শ’ ও হাজার টাকার নোট উদ্ধার হওয়ায় প্রচ- ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় দলের মুখ পুড়ছে বুঝতে পেরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়টিতে যে গন্ডগোল রয়েছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। কারণ প্রথমে ওই অর্থ লোকমঙ্গল সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মীদের বেতনের টাকা বলে দাবি করেছিলেন দেশমুখ। কিন্তু পরে তিনি স্বীকার করে নেন গোটাটাই তার ব্যক্তিগত অর্থ। সুযোগ বুঝে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস ও এনসিপি। বিরোধীদের ধারণা, বিষয়টি নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও প্যাঁচে ফেলা যাবে। কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের দাবি,দেশমুখকে পদত্যাগ করতে বলা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই ফড়ণবীসের কাছে। আয়কর দফতরকে দিয়ে দেশমুখের গোটা সম্পত্তির তদন্তের দাবি তুলেছে শারদ পওয়ারের দল এনসিপি। দলের নেতা নবাব মালিক বলেন,সরকারের কালো টাকা ধরার অভিযানকে এনসিপি স্বাগত জানিয়েছে কিন্তু দেশমুখের মতো যাদের কাছ থেকে কালো টাকা পাওয়া যাচ্ছে তাদের যেন গ্রেফতার করা হয়।
মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে দেশমুখ সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। দলীয় সূত্রের খবর, তাই সব নিয়মকানুন মেনেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে দোষী প্রমাণিত হলে দেশমুখকে দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, দেশমুখের ঘটনাকে চাপা দিতে  বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে আয়কর দফতরকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিতে পারে মোদি সরকার। বিশেষভাবে আশঙ্কায় ভুগছেন মুলায়ম সিংহ যাদব বা মায়াবতীর মতো নেতা-নেত্রীরা। তাদের বিরুদ্ধে আয়ের থেকে বেশি সম্পত্তি থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মোদির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে এক খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন গুজরাটের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক যতীন ওঝা। পেশায় আইনজীবী ওঝা এক সময়ে মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ‘রাজনৈতিক গুরু’ হিসেবেও পরিচিত। খোলা চিঠিতে ওঝার দাবি, নোট বাতিলের সুযোগে অমিত শাহের ঘনিষ্ঠরা কালো টাকার কারবারিদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছে। ৩৭ শতাংশ হারে ‘মজুরি’ নিয়ে তারা কালো টাকা সাদা করে দিচ্ছে। আবার মোদির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিরা আগেভাগেই খবর পেয়ে কালো টাকা সোনায় বদলে ফেলেছেন। ওঝার দাবি, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নোট বাতিল করেননি মোদি, তিনি ঘনিষ্ঠদের লাভের কথাই ভেবেছেন। ওয়েবসাইট, এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ