Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান পার্কের সিউলে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

বিভিন্ন প্রবেশপথে বাস ও ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:১৬ পিএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইয়ের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী সিউলে গত শনিবার টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, রাজধানী শহরের এই সপ্তাহের বিক্ষোভে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শহরে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে আরো হাজার হাজার মানুষ। অপরদিকে পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন পার্ক। বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, ১৯৮০-র দশকের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এটাকেই সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চলমান এই বিক্ষোভ কর্মসূচি এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হলেও সিউলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া প্রেসিডেন্টের বাসভবন বস্নু হাউস-এর বিভিন্ন প্রবেশপথে অনেক বাস ও ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দিন দিন তীব্রতর হওয়া এই গণবিক্ষোভ দেশটির সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। তবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে পাবলিক প্রসিকিউটরের করা প্রশ্নের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। আয়োজকরা জানিয়েছে, গত ১২ নভেম্বরের বিক্ষোভে প্রায় ১০ লাখ লোক উপস্থিত ছিল। আর চলতি সপ্তাহের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রায় পাঁচ লাখ লোক অংশ নিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ লাখ নয়, বরং গত সপ্তাহের ১০ ভাগের এক ভাগ মানুষ কেবল শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর আগে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কোরিয়ান কনফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নের মুখপাত্র নম জিয়ং-সু বলেন, আমরা আগের তিনটি সমাবেশের মতো শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে চাই। সেই সময় তিনি গত শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ঢল নামার আশা প্রকাশ করেছিলেন। সিউলে অবস্থিত সংবাদদাতা ওয়েন হাইয়ি বলেন, শনিবার দিনভর সিউলের রাস্তায় অল্প পরিসরে বিক্ষোভকারীদের দেখা গিয়েছিল। তবে বিক্ষোভ শুরুর আনুষ্ঠানিক সময় অর্থাৎ, সন্ধ্যা নামতেই লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এদিকে, প্রেসিডেন্টের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চই সন-সিলের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার কথা দুটি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হওয়ার পরও পার্কবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বন্ধুত্বের নাম ভাঙিয়ে তিনি এই আর্থিক সুবিধা নেন। জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সিলকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বিবিসি, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ