যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
আমেরিকা প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীর ঐতিহ্যবাহী সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র নির্বাচনকে ঘিরে নিউইয়র্কে ভোটের আমেজ বিরাজ করছে । আগামী ৫ জুন রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচন । নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১১ হাজার ৯২। প্রবাসীদের অন্যতম বৃহত্তম এই সংগঠনটির নির্বাচনে পাঁচটি পদে নির্বাচন হচ্ছে। বাকি ১৪টি পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সবাই বদরুল-ময়নুল পরিষদ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পাঁচটি পদের জন্য লড়ছেন বদরুল-মঈনুল পরিষদ থেকে সভাপতি পদে সংগঠনের সাবেক সভাপতি বদরুল খান, সাধারণ সম্পাদক পদে এসোসিয়েশনের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মঈনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি (সিলেট জেলা) পদে এমডি লুকমান হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ আলিম এবং সাংগঠনিক ও সাদস্যিক সম্পাদক পদে ইফজাল চৌধুরী।
অপর দিকে স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদুল হক ছানৃু, সাধারণ সম্পাদক পদে সাইকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি (সিলেট) শাহ মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ-মিসবা উদ্দিন আহমেদ এবং সাংগঠনিক ও সাদস্যিক পদে শহীদুল হক।
আমেরিকায় বসবাসরত বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলার ৩৯ থানার বাসিন্দারা ভোট দিয়ে থাকেন এ নির্বাচনে। ভোট গ্রহণের জস্য নিউইয়র্কে তিনটি এবং নিউজার্সি ও পেনসিলভেনিয়ায় একটি করে মোট ৫টি ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে।
এসোসিয়েশনের নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে, প্রার্থীদের তৎপরতা, প্রচার-প্রচারণা ততই তুঙ্গে উঠছে। বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করছেন তাদেরকে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে শুধু জালালাবাদবাসীরাই নয়, প্রবাসী পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিতেই সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। এই সংগঠনটির নির্বাচন ইতোমধ্যেই মাতিয়ে তুলেছে কমিউনিটিকে। চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা আর সমীকরণ। তারা হিসাব করছেন, কাকে ভোট দিলে সংগঠন বেশি গতিশীল হবে। কারা জালালাবাদবাসীর বহুদিনের স্বপ্নের একটি স্থায়ী ভবন তৈরী করে দিবেন।
এই নির্বাচনে বিয়ানীবাজারবাসীর ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। জালালাবাদবাসীর মতে, বিয়ানীবাজারবাসী যে দিকে, জয়ের পালও সেদিকেই ওড়ে। তাই বিয়ানীবাজারে যারা মজবুত ঘাঁটি তৈরী করতে সক্ষম হবেন তারাই বিজয়ের পতাকা ওড়াতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নির্বাচনে প্যানেল ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দিতা করছে ‘বদরুল-মঈনুল পরিষদ’। তারা দলবদ্ধ ভাবে প্রচারে নেমেছেন। তারা সর্বত্র ছুটে বেড়াচ্ছেন, সভা-সমাবেশ, মতবিনিময় করছেন। সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাদের দৃষ্টি অবশ্যই বিয়ানীবাজারের দিকে।
অন্যদিকে ‘বদরুল-মঈনুল পরিষদ’র বিরুদ্ধে কোন প্যানেল না থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তৎপর। ব্যক্তিগতভাবে তারাও চষে বেড়াচ্ছেন। তারা বলছেন, ভোটাররা খুব সচেতন, তারা প্যানেল দেখে নয়, যোগ্যতা দেখেই প্রার্থীদের ভোট দেবেন। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটবে আগামী ৫ জুন রোববার।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।