মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্ক রুটে। উচ্চতায় প্রায় সাত ফুট। ছিপ ছিপে চেহারা। এই মার্ক রুটে ভদ্রলোক নেদারল্যান্ডস নামক সমুদ্রতলের নিচে অবস্থিত দেশটির প্রধানমন্ত্রী। হঠাৎই ফোন নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন মার্ক রুটে। তার থেকেও বেশি ঝামেলায় পড়েছেন তার দেশের লোক এবং প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। তিনি কী ফোন ব্যবহার করেন, তা নিয়ে ডাচ মিডিয়া তোলপাড়। কারণ তার ফোনে কোনও মেসেজই রাখা থাকে না। মুছে যায়। এ কি কোনও প্রযুক্তির গোলযোগ?
আরেকধাপ এগিয়ে জানা গিয়েছে, রুটে নিজেই ফোন থেকে সব মেসেজ ডিলিট করে দেন। এমনকী কোভিড মহামারী সংক্রান্ত যে সমস্ত এসএমএস পাঠানো হয়েছিল তার সবগুলোই উনি ডিলিট করে দিয়েছেন। খেয়াল রাখবেন এসএমএস, স্মার্টফোনের হোয়াটসঅ্যাপ টেক্সট নয়। আর তাতেই ডাচ ক্যাবিনেটে হইচই শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও। এমন কাণ্ড কী করে সম্ভব। মার্ক রুটে এই অভিযোগ শুনে জানিয়েছেন, তার মান্ধাতার আমলের প্রাচীন ফোনটিতে জায়গা ছিল না বলে নতুন কোনও মেসেজ আসতে পারছিল না তাই উনি সব পুরনো মেসেজ ডিলিট করে দিয়েছেন।
ভাবছেন, তার দেশ গরীব? তাই প্রধানমন্ত্রী একটা আধুনিক প্রযুক্তির দামি ফোন কিনতে পারেননি? না, নেদারল্যান্ডসের নাম গরীব দেশের তালিকায় নেই। বরং উল্টোটাই। ২০২২ সালে দেশটির জিডিপি পার ক্যাপিটা ৬০.৬৮৯ মার্কিন ডলার। তবুও দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা স্মার্ট ফোন নেই! এটাই সত্যি। কারণ উনি অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন। মেসেজ বিতর্কের পর ক্যাবিনেটে আলোচনার পরে ঠিক হয় যে প্রশাসনের তরফেই রুটেকে এবার একটা স্মার্ট ফোন কিনে দেওয়া হবে, যেটা উনি অফিসের কাজে ব্যবহার করবেন।
উল্লেখ্য, রুটেই কিন্তু সেই প্রধানমন্ত্রী যিনি সাইকেলে চেপে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে যান। এক কোটি ৭৪ লক্ষ মানুষ বসবাসের এই দেশে বর্ণ বিভাজন নেই, শ্রেণি বৈষম্য নেই, জাতপাত নেই, এমনকী ধর্মও নেই। বেশির ভাগ মানুষ এ দেশে নিজেকে নাস্তিক বলে থাকেন। একটাই ধর্ম মেনে চলেন, মানব ধর্ম। তাই এই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোবাইলে এসএমএস মুছে দিলে সেটা একটা বড় খবর হয়, মানুষ তা নিয়ে আলোচনা করে। আর রুটে কী বলেন? “যে সমস্ত এসএমএস ফরওয়ার্ড করা দরকার ছিল, সেগুলো করে দিয়েছি। ফোনে আর জায়গা ছিল না।” বিরোধীদের তরফে তথ্য গোপন করার অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তাকে। জবাবে রুটে হেসে বলেছেন, “সমস্ত কথোপকথন জাতীয় সংরক্ষণাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি।” সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।