মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন তিনি। উদ্বোধনও হয়েছে তার হাতে। কিন্তু দমদম মেট্রো স্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্মে সেই উদ্বোধনী ফলক থেকে তারই নাম উধাও! তিনি, অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি তদানীন্তন রেলমন্ত্রী হিসাবে তিনি দমদম থেকে বরানগর-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোরুট সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সেইমতো দমদম স্টেশনের আপ লাইনে একটি উদ্বোধনী ফলক বসানো হয়, তার নাম সমেত। পরপর বাংলা, হিন্দি, ইংরেজিতে প্রকল্পের বিবরণ ও উদ্বোধকের নাম ও পদ খোদাই করা।
তবে ফলকটির সর্বাঙ্গে এখন অযত্নের ছাপ। সবচেয়ে বড় কথা, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামই তা থেকে মুছে গিয়েছে। বাংলা ও ইংরেজি লেখায় সম্পূর্ণভাবে, হিন্দিতে ব্যানার্জি শব্দটি শুধু টিকে আছে কোনওমতে। যা দেখে যাত্রীরাও মেট্রো কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। বিষয়টি নজরে আনতে মেট্রোর আইএনটিটিইউসি সংগঠনের তরফে মেট্রোর চিফ অপারেশন ম্যানেজারকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট, জোকা-বিবাদিবাগ, নিউ গড়িয়া, এয়ারপোর্ট, দক্ষিণেশ্বর-বিমানবন্দর-বারাসত-সহ একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। কাজও শুরু করান। সাধারণ মানুষ যাতে মেট্রোয় চড়ে দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছে যেতে পারেন, সে কারণে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর সম্প্রসারণের কথাও ঘোষণা করা হয়। যে প্রকল্পের শিলান্যাস করেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি। তাঁর আমলেই শুরু হয়েছিল কাজ। অথচ তিনি রেলমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর বাকি অংশের কাজ করতে মেট্রোর লেগে যায় ১১ বছরের বেশি সময়।
২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভারচুয়ালি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাত্রীরাও নয়া মেট্রোর সুবিধা পেতে শুরু করেন। পাতালপথে মিলে যায় দুই কালীতীর্থ- কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বর। অথচ যিনি তা মেলালেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে তারই নাম উধাও দমদম স্টেশনে থাকা উদ্বোধনী ফলক থেকে। যা দেখে যারপরনাই ক্ষুব্ধ যাত্রীমহলের একাংশও। তাঁদের বক্তব্য, যিনি এই প্রকল্প রাজ্যের জন্য নিয়ে এলেন, তিনিই আজ বঞ্চিত। স্টেশনে মেট্রোর এত স্টাফ থাকেন, অথচ বিষয়টি কারও নজরে এল না! কেউ কর্তৃপক্ষের কানে তুলছে না।
মেট্রোর প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (আইএনটিটিইউসি) সাধারণ সম্পাদক সমীর বেরা বলেন, “এভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করতে মেট্রো পারে না। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।” বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মেট্রো রেলের চিফ অপারেশন ম্যানেজার সাত্যকী নাথ বলেন, “একটা চিঠি পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, কী অবস্থায় আছে ওটা।” সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।