সড়ক দুর্ঘটনায় জিডিপির ক্ষতি ১ দশমিক ৬ শতাংশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সড়ক দুর্ঘটনার আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল
দেখতে দেখতে অনেকটা বড় হয়ে যাচ্ছে জিনান, মা-বাবার ইচ্ছা এবার জিনানকে ভালো কোনো স্কুলে ভর্তি করে দেবেন। জিনানের বাবা জামাল সাহেব বিদেশে থাকেন। এবার ছুটিতে এসেছেন ছয় মাসের জন্য। জামাল সাহেব চাচ্ছেন তার ছুটি শেষ হবার আগেই মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে। জিনান খুবই চঞ্চল স্বভাবের। তবে তার মেধাশক্তি অনেক প্রকট। একবার কোনো কিছু শুনলে খুব সহজেই রপ্ত করে ফেলে। একমাত্র সন্তান জিনান তাই তাকে নিয়ে তাদের আবেগও একটু বেশি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্কুলে খোঁজ-খবর নিয়েছেন তিনি। আজ শহরাঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেভাবে পসরা সাজিয়ে বসেছে এতে করে ভালো আর খারাপের মধ্যে পার্থক্য করাটা খুবই কঠিন ব্যাপার। ব্যঙ্গের ছাতার মতো করে যেভাবে যেখানে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে সেভাবে শিক্ষার মান খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। তার কারণ হলো এসব প্রতিষ্ঠানের মূল টার্গেটই হচ্ছে অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিল। তবে সব প্রতিষ্ঠান যে এরকম তা নয়। কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে ভালো মানের পড়ালেখা হয়।
বেশ কিছু খোঁজখোঁজির পর একটা ভালো স্কুলের সন্ধান পেলেন। কিন্তু তাতে একটা সমস্যা হচ্ছে সেই স্কুলটা তাদের বাসা থেকে অনেকটা দূর। প্রথম রাজি না হলেও পরবর্তীতে যখন শুনলেন স্কুলের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা আছে পাশাপাশি ছোটদের সাথে অভিভাবকদের যাওয়ারও সুযোগ আছে। এতে করে তারা রাজি হয়ে গেলেন।
এদিকে জিনানও খুব খুশি, সে স্কুলে ভর্তি হবে এবং মায়ের সাথে স্কুল বাসে করে সে স্কুলে যাবে। তাই-প্রতিদিন মায়ের কাছে তার প্রশ্ন-আম্মু কবে আমাকে স্কুলে নিয়ে যাবে? আমাকে বই, খাতা, কলম, কিনে দেবে? ইত্যাদি এরকম আরো অনেক প্রশ্ন।
আজ স্কুলে জিনানের প্রথম দিন। বাবা-মা দুজনই তার সাথে এসেছেন। ভর্তির সব কাজ শেষ করে ক্লাসে নিয়ে-যান প্রধান শিক্ষক। জিনানকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রথম ক্লাসে বাংলা স্যার রোল কল করে নিলেন। কিন্তু জিনানের নামটা যেন বাদ পড়ে গেলো। রোল কল শেষ করে স্যার জিজ্ঞেস করলেন, কেউ কি বাদ পড়েছে? জিনানের পাশেই বসা রুমি বলে উঠলো
স্যার- ‘এইতো জিনানের নাম ডাকা-হয়নি
‘কেনো সে কি এখনো ভর্তি হয়নি? স্যার বললেন।
‘জি স্যার, আজ ভর্তি হয়েছে। সে আমাদের নতুন বন্ধু’ রুমি- বললো।
অহ আচ্ছা- তাহলে আগামী কালই হাজিরা খাতায় তার নাম-তালিকাভুক্ত করা হবে।
ঠিক আছে, তোমরা এখন বাংলা বই বের করো.........
স্কুলের প্রথম দিনে খুব ভালো লাগছে জিনানের। তার মতো আরো অনেক বন্ধু আছে ক্লাসে। বাহিরে বসে আছেন জিনানের বাবা-মা। একমাত্র সন্তান জিনানকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন। পড়ালেখা শিখে অনেক বড় হবে জিনান। ক্লাস শেষে জিনানকে নিয়ে বাসায় ফিরেন তারা। আব্বুর কাছে জিনানের প্রশ্ন আব্বু আমাকে স্কুল ড্রেস কবে কিনে দেবে? ক্লাসে সব বন্ধুদের পরনে স্কুল ড্রেস দেখেছি। হ্যাঁ মা, এইতো একে একে তোমার সব কিছু কিনে দেবো। কেমন
রাতের খাবার খেয়ে মা-বাবার সাথে ঘুমোতে যায় জিনান। অনেকক্ষণ হয়ে গেলো, কিন্তু জিনানের চোখে ঘুম আসছে না। মনে হচ্ছে ঘুম যেনো কোথায় হারিয়ে গেছে। তার চোখের সামনে ভাসছে স্কুলের প্রথম দিনটির কথা। কখন আবার সকাল আসবে, মায়ের সাথে স্কুলে যাবে, বন্ধুদের সাথে দেখা হবে, খেলাধুলা হবে। টিফিনে সবার সাথে নাস্তা করবে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যেনো ঘুম চলে আসে জিনানের চোখে----
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।