Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যে ৫ ফল খেলে ওজন কমবে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২২, ১১:২৬ পিএম

শরীরের বাড়তি ওজন নানা রোগের কারণ। তাই ওজন কমাতে কত কিছুই না করছেন। কঠোর ডায়েট থেকে শুরু করে শারীরিক কসরত। অনেকে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাচ্ছেন জিমে। তা-ও ওজন কমাতে পারছেন না।

অনেকেরই ধারণা যে, কম খেলে দ্রুত ওজন কমে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া নয়, বরং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। ওজন কমাতে গিয়ে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ডায়েটে এমন কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, যেগুলো ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে আবার শরীরও সুস্থ থাকবে।

ওজন কমাতে খেতে পারেন ফল। অনেকেই ডায়েটের অজুহাতে ফল খান না। তবে মধুমাসে ফল খাওয়া থেকে তো দূরে থাকা যায় না। গ্রীষ্মকালীন ফল খেয়েও ওজন কমাতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ফলগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে-

তরমুজ
দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে তরমুজ। এই গ্রীষ্মকালীন ফলে আছে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন। এছাড়াও তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। যা গরমে শরীর হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে। পানি ও ফাইবার থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাও রাখে তরমুজ।

বাঙ্গি
বাঙ্গিতেও পানির পরিমাণ বেশি থাকে এবং এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটিতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, ফলে ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। ভিটামিন এ, বি, কে, সি, জিঙ্ক এবং কপার সমৃদ্ধ এই ফলটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমায়। এর পাশাপাশি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতেও সহায়তা করে।

আনারস
ওজন কমাতে খেতে পারেন আনারস। এটি ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ। আনারসে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার রয়েছে, যে কারণে দীর্ঘ সময় আমাদের পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আনারসে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে।

লিচু
রসালো সুস্বাদু এই ফলটিও ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। লিচুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরির পরিমাণও খুব কম।

পেঁপে
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর মতে, ১০০ গ্রাম পেঁপেতে মাত্র ৪৩ ক্যালোরি থাকে। ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এই ফলটি ওজন কমানোর পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন