‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান কর্মসূচির’ সুবিধা পেতে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সরকারি গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরে মালাবদলের তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন। সরকারি অর্থসাহায্য পাওয়ার জন্যই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর পদাধিকারি নৈতিক চৌধুরী এমন কাজ করেন বলে ভারতের মধ্যপ্রদেশ পুলিশের অভিযোগ।

ঘটনার পরেই ছাত্র নেতা নৈতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিবরাজ সিংহ চৌহান ক্ষমতায় ফেরার পরেই জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান কর্মসূচি প্রকল্পে গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছেন। সেখানে নবদম্পতিদের সরকারি সাহায্যেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সেখানেই হাজির হয়েছিলেন নৈতিক এবং তার স্ত্রী।
আয়োজকেরা তাকে চিনে পুলিশে খবর দেন। কারণ, আয়োজকদের কয়েকজন জানতেন গণবিবাহ অনুষ্ঠানের দুই সপ্তাহ আগেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নৈতিকের বিয়ে হয়েছিল। ঘটনার কথা জেনেই দ্রুত পুলিশ পৌঁছে নৈতিককে গ্রেফতার করে।

তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক দিয়ে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা টুইটারে লিখেছেন, ‘এই কীর্তিমান এনএসইউআই-এর জাতীয় আহ্বায়ক। মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান কর্মসূচির সুবিধা নিতে নিজের স্ত্রীকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে গিয়েছিলেন।’ সূত্র : জি নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া।