মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার দাপট ঠেকাতে মরিয়া উত্তর কোরিয়া। মারণভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নদী, লেক, বাড়ির বর্জ্য পদার্থ পরীক্ষা করছে কিম প্রশাসন। পাশাপাশি নর্দমা, জঞ্জালের স্তূপ জীবাণুনাশ করার কাজ চালানো হচ্ছে। চলতি মাসেই প্রথমবার সরকারি ভাবে কোভিড সংক্রমণের কথা জানায় কিম জং উনের সরকার। তারপর থেকে রোজ জ্বরে আক্রান্তের পরিসংখ্যান প্রকাশ করলেও কত সংখ্যক মানুষ কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন, সে ব্যাপারে মুখে টুঁ শব্দটি করেনি সে দেশ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সে দেশে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৬০ জনেরও বেশি। ১০ দিন আগে এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৪ লাখ। এপ্রিলের শেষ থেকেই উত্তর কোরিয়ায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এপ্রিল থেকে সে দেশে মোট জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৮৫০। মোট মৃতের সংখ্যা ৬৯।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সে দেশে নদী ও লেক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাঁরা জ্বরে ভুগছেন, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পিয়ংইয়ংয়ে একটি জলের কারখানায় পানীয় জল যাচাই করে দেখা হচ্ছে, তা নিরাপদ কি না। সম্প্রতি কিম জং উনের দেশের তরফে দাবি করা হয় যে, সেখানে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সে দেশে মৃত্যুর হার ও সংক্রমণের হার কমেছে। সুস্থতার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে’।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে প্রথমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কোভিড সংক্রমণের কথা জানানো হয়। তারপর থেকে কোভিডে সংক্রমিতের পরিসংখ্যান কুলে ধরা হয়নি। তাই কত সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সে তথ্য সামনে এসেনি এখনও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে।
শের কোভিড পরিস্থিতিকে ‘বড় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করেছেন শাসক কিম জং উন। কার্যত মেজাজ হারিয়ে আধিকারিকদের তিরস্কারও করেছেন কিম। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অপরিণত আচরণ দেখা গিয়েছে, এ ভাষাতেই তিরস্কার করেছেন উত্তর কোরিয়ার পরাক্রমশালী শাসক।করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে যাতে কোভিডের ওষুধের সরবরাহ স্থিতিশীল কর যায়, তা স্থির করতে উত্তর কোরিয়ার সেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন কিম। জানা গিয়েছে, কোভিডের চিকিৎসার ওষুধ ঠিকমতো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোচ্ছে না। দ্রুত ও যথাযথভাবে যাতে ওষুধ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে কারণেই কিমের এই নির্দেশবাণী। পিয়ংইয়ংয়ে ওষুধের সরবরাহে সেনার চিকিৎসক দলকে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। জানা গেছে, জ্বরের প্রকোপ কমাতে কোরিয়ার প্রাচীন সব ওষুধের ব্যবহার বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে থার্মোমিটার ও জীবাণুনাশকের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।