পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের পরিণতি বিশ্বজিৎ এবং আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বিশ্বজিৎকে এই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরাই হত্যা করেছে, বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছিল তারাই। আজকে যারা গুন্ডামি করছেন, অন্যদের প্ররোচনায়।
বিশ্বজিৎ ও ফাহাদের খুনিদের যে পরিণতি হয়েছে, এই হামলাকারীদেরও আজ হোক বা কাল সেই পরিণতি হবে। শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফুটপাতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর বিএনপি। হামলায় যারা প্ররোচনা দিচ্ছে তারা কারা প্রশ্ন রেখে মোশাররফ বলেন, এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে থাকা সরকার। তাদের এ দেশের প্রতি কোনো প্রেম নেই। মুক্তিযুদ্ধের শেষ আকাঙ্ক্ষার প্রতি তাদের কোনও দায়িত্ব-কর্তব্য নেই। তারা মুক্তিযুদ্ধের শেষ আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্রকে ৭৫ সালে হত্যা করেছে, এখন আবার হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনকে লাঠি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে লেলিয়ে দিচ্ছেন, তাদের পরিণতির কথা চিন্তা করেন। যারা হামলা করছেন, তাদের পরিণতি কী হবে, অতীতে তার বহু উদাহরণ আছে। কেন হামলা করছেন সেটা সবাই জানে উল্লেখ করে সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন শূন্য। এই দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই এই সরকারের আর কোনো পথ নেই। তাদের রাস্তা সবদিকে বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রীর, তার ঘুম হয় না। ঘুম হয় না বলেই এই প্রধানমন্ত্রী সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, টুপ করে পদ্ম সেতু থেকে ফেলে দেবেন। এই কথা কখনও একজন সুস্থ ব্যক্তি বলতে পারেন না। তার অর্থ অনেক দিন থেকে শেখ হাসিনা ঘুমাতে পারেন না।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও আবার হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করে মোশাররফ বলেন, তারা নারী নেত্রীদেরও ছাড় দেয়নি। নেত্রীদের ওপর যে হামলা করেছে, এটা শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটই দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি একমাত্র কারণ দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এই কারণে তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরের নেতা রফিকুল ইসলাম মঞ্জু, আমিনুল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।