গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- পুরান ঢাকায় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের কন্ট্রাক্টর মো. সিরাজ ভূঁইয়া, খিলগাঁও ভবঘুরে নার্গিস বেগম ও হাজারীবাগে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা তিনটি ঘটে।
ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাস চালক মোহাম্মদ ওয়াসিম জানান, নিহত সিরাজ তার বাসের কন্ট্রাক্টর ছিলেন। সকালে তারা বাস নিয়ে ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পিছন থেকে একই পরিবহনের আরেকটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩৬৭৭) এসে সিরাজকে ধাক্কা দেয়। এতে আহত হলে সিরাজকে সঙ্গে সঙ্গে পাশেই ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সিরাজের বাড়ি ময়মনসিংহের গোবিন্দপুর থানার গোসাই নগর গ্রামে। তিনি আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে। বর্তমানে গাজীপুর বোর্ড বাজারের গাছা এলাকায় থাকতেন।
এদিকে হাজারীবাগ থানার পুলিশ সদস্য মাহফুজার রহমান জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাজারীবাগের বেরিবাঁধ এলাকায় ডাবের আড়তের বিপরীত পাশের রাস্তায় কোন মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ওই ব্যক্তি আহত হয়ে পড়েছিলেন। খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তার নাম, পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনজন পথশিশু নার্গিস বেগম নামে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা জানিয়েছে, খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনের রাস্তায় আহতাবস্থায় পড়েছিল ওই নারী। স্থানীয় থানা পুলিশ তাদেরকে দিয়ে ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠায়। নিহত নারী ভবঘুরে ছিলেন। কোন পরিবহনের ধাক্কায় তিনি মারা যেতে পারেন। তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
অপরদিকে উত্তরায় বোনের বাসায় এসি লাগাতে গিয়ে পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে ইমরান হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা ৬ নং রোডের ১০ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ইমরান অবিবাহিত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানা ইসলামপুর গ্রামে। বাবার নাম সোলাইমান সরদার। উত্তরা ৯নং সেক্টরের ৯নং রোডে থাকতেন। ওখনাকার একটি এসির শোরুমে কাজ করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।