গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ সংরক্ষণে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচা আন্দোলন (পবা) নেতৃবৃন্দরা। তাদের মতে, সারাদেশে চলছে ইট তৈরির মৌসুম।
ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির উপরিভাগ, নদীর তীর এবং পাহাড়ের মাটি। কাঠ ও অত্যন্ত নিম্নমানের কয়লা পোড়ানো এবং স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ব্যবহার করায় ইটভাটাগুলোতে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া। এতে ভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকা, শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ জনপথে পরিবেশগত বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকির আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠাÐাজনিত নানা রোগ দেখা দিতে পারে।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পবা মিলনায়তনে চলতি মৌসুমে ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণেÑ এখনই করণীয় Ñশীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের বক্তরা এ দাবি জানিয়েছেন। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পীস মুভমেন্ট-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর কামাল আতাউর রহমান, পবার সম্পাদকমÐলীর সদস্য শামীম খান টিটো, বিসিএসআইআর-এর সাবেক পরিচালক ড. কে এম ফরমুজুল হক, বিএইচআরডি-এর পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদসহ আরো অনেকে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে এবং অনেক মূল্যবান বিরল প্রজাতির উদ্ভিদও পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে।
ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ এবং কৃষিজমির উর্বর মাটির অবক্ষয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে এ সেক্টরে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনয়ন অত্যন্ত জরুরী। এটা অনস্বীকার্য যে, অন্যতম নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ইটের গুরুত্ব অপরিসীম। অন্যানা বক্তারা আরো বলেন, আধুনিক, পরিবেশ বান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার, নির্ধারিত মাত্রার সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার, জ্বালানি হিসাবে কাঠ ও কৃষি জমির উর্বর মাটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং সংশ্লিষ্ট আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ-এর মাধ্যমে ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, বন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, মেজিস্ট্রেসী, এনবিআর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ইটভাটা সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নে ভাটার মালিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।