Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিকা ভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

মশাবাহিত এই রোগ স্থায়ী প্রভাব বিস্তারকারী হুমকি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:২৯ পিএম

জিকা ভাইরাস নিয়ে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) হু। নয় মাসব্যাপী জারি থাকা জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও মশাবাহিত এই রোগকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী প্রভাব বিস্তারকারী হুমকি বলেই বর্ণনা করছে সংস্থাটি। তবে বিশ্বের বেশকিছু দেশে এখনো এই রোগের প্রাদুর্ভাব আছে। যুক্তরাষ্ট্র মহাদেশে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর জরুরি অবস্থা জারি করেছিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নয় মাস পর সেই আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হলো। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ব্রাজিলে ব্যাপক আকারে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ব্রাজিলে গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১১১৩ জন মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ব্রাজিলের পর ল্যাটিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি দেশসহ যুক্তরাষ্ট্রেও শনাক্ত হয়েছে জিকা। তবে সিডিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে যারা জিকা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তারা জিকাপ্রবণ দেশ ভ্রমণ করে এসেছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড্যানিয়েল ইপস্টেইন বলছেন, এখনো অন্তত ৭৫টি দেশে এটি আবারো মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারেÑ যদি না সেখানে মশা নিধনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়। জিকা ভাইরাস প্রতিরোধের কর্মসূচিগুলোও অব্যাহত রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। লাতিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবীয় এলাকা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এখন জিকা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘস্থায়ী পন্থা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এডিস প্রজাতির মশা থেকে জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে। জ্বর, জয়েন্ট পেইনসহ ছোটখাটো কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় এ ভাইরাসের কারণে। আবার তা এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে সেরেও যায়। তবে বিপত্তি তৈরি হয় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাইক্রোফেলাসি তথা বিকৃত ও ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নিতে পারে শিশু। এসব শিশুর বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি থাকে, শারীরিক বৃদ্ধি কম হয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জিকা ভাইরাস সর্বপ্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় রেসাস ম্যাকাক নামের বানরের দেহে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে উগান্ডা ও তানজানিয়াতে মানবদেহে প্রথমবারের মতো ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ