মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল গমের রফতানিতে। এবার কাটছাঁট চালানো হল চিনির রফতানির উপরেও। বিগত ছয় বছরে এই প্রথমবার চলতি মরশুমের জন্য চিনির রফতানির সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, চলতি মৌসুমে ১ কোটি টন চিনি রফতানি হবে। দেশের চিনির মিল মালিকেরা বিশ্বের বাজারে বিপুল চিনি রফতানি করার ফলে দেশের বাজারে যে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রফতানিকারকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিদেশে চিনি রফতানি করার আগে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে।
ব্রাজিলের পরে ভারতই বিশ্বের সব থেকে বড় চিনির রফতানিকারক দেশ। ভারত থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিনি কেনে। তবে বিগত প্রায় এক বছর ধরে নানা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির পরেই কেন্দ্র নড়েচড়ে বসে। স¤প্রতিই আটার দাম কমানোর জন্য গমের রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে গত মার্চ মাসেই জানানো হয়েছিল, দেশের বাজারে পর্যাপ্ত জোগান বজায় রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রের তরফে চিনির রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। এদিকে, ভারতে চিনির রফতানিতে রাশ টানার পরই লন্ডনে সাদা চিনির দাম ১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
মুম্বাইয়ের এক চিনি ব্যবসায়ী জানান, সরকার খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। সামনেই আবার উৎসবের মরশুমও রয়েছে, যাতে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনির জোগান বজায় থাকে, সেই কারণেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, ১ কোটি টন চিনি রফতানির সীমারেখা বেধে দেওয়ার পরও ভারত বিশ্ববাজারে যথেষ্ট বড় পরিমাণেই চিনি রফতানি করবে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে প্রথমে চিনির রফতানি ৮০ লক্ষ টনে বেধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে মিলগুলিকে আরও ২০ লক্ষ টন চিনি রফতানির অনুমনুতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে প্রায় ৩.৫৫ কোটি টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। আগে এই পূর্বাভাসে ৩ কোটি টন চিনি উৎপাদনের কথা বলা হয়েছিল।
ভারতীয় চিনি মিলগুলি ২০২১-২২ সালের মধ্যে ৯১ লক্ষ টন চিনি রফতানি করেছে। এতে সরকারের কোনও ভর্তুকি ছিল না। চলতি বছরের জন্য ৯০ লক্ষ টন চিনি রফতানির যে চুক্তি করা হয়েছিল, তারমধ্যে ৮২ লক্ষ টন চিনি ইতিমধ্যেই রফতানি করা হয়েছে। সূত্র : টিভি ৯ বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।