Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে দুই বিশ্বরেকর্ড বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২২, ৪:০৬ পিএম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দুই বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার মধ্যাহ্ন বিরতির পর ইবাদত হোসেন রান আউটে কাটা পড়লে স্বাগতিকরা থামে ৩৬৫ রানে। মিরপুর টেস্টের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন ডাক মেরে খালি হাতে।


এছাড়া এক ইনিংসে ছয় ব্যাটারের এমন হতাশার বিদায় বাংলাদেশের জন্য যেমন লজ্জার, তেমনি আবারও সুখবরও এনে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। দু-জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে সংগ্রহে দাঁড়ায় ৩৬৫ রান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, খালেদ আহমেদ এবং ইবাদত হোসেন।
দলের টপঅর্ডারের এই ছয় ব্যাটার রানের খাতা না খুললেও লিটন-মুশফিকের ২৭২ রানের রেকর্ড জুটিতে ৩৬৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। টেস্টের এক ইনিংসে ছয় ডাকের পর এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ইনিংসের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে শূন্য রানে বিদায় নেন ১১ নম্বরে নামা ইবাদত। প্রায় ২০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ২০০২ সালের ওই টেস্টে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জারমেইন লসনের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা করতে পেরেছিল মাত্র ৮৭ রান। মড়কের শুরুটা হয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলকে দিয়ে। এরপর একে একে খালেদ মাসুদ, অলক কাপালি, এনামুল হক মণি, তাপস বৈশ্য ও তালহা জুবায়ের করেছিলেন শূন্য।

অন্যদিকে এক ইনিংসে ছয় ব্যাটার খালি হাতে ফেরার পর শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকি ইনিংসগুলোর কোনোটিই বাংলাদেশের ইনিংসের ধারের কাছেও নেই। ২০১৪ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ছয় ডাকের পরও ১৫২ রান করেছিল ভারত। এতোদিন এটাই ছিল ছয় ডাকের পর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ভারত-ইংল্যান্ডের ওই ম্যাচে ভারতের হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন মুরালি বিজয়, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার এবং পঙ্কজ সিং।

এই রেকর্ডে তৃতীয় স্থানে আছে ১৯৮০ সালের পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। করাচিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে ডাকের শিকার হয়েছিলেন শফিক আহমেদ, সাদিক মোহাম্মদ, মাজিদ খান, ইজাজ ফাকিহ, ইকবাল কাসিম এবং মোহাম্মদ নাজির। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১২৮ রান।

ছয় ডাকের পর চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ১০০ রান। ১৯৯৬ সালে আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা এই সংগ্রহ গড়েছিল। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই ম্যাচে ডাকের শিকার ছিলেন অ্যান্ড্রু হ্যাডসন, ড্যারিল কালিনান, জন্টি রোডস, প্যাট সিমকক্স, ফ্যানি ডি ভিলিয়ার্স এবং পল অ্যাডামস।

একই ঘটনায় শীর্ষ পাচের সর্বশেষ স্থানে আছে নিউজিল্যান্ডের নাম। ২০১৮ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় ডাকের পর কিউইদের দলীয় সংগ্রহ হয়েছিল ৯০। এই ম্যাচে কিউইদের হয়ে ডাকের শিকার হয়েছিলেন রস টেইলর, হেনরি নিকোলস, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, ইশ সোধি, নিল ওয়াগনার এবং ট্রেন্ট বোল্ট।

ছয় ডাকের পর সর্বোচ্চ সংগ্রহের শীর্ষে পাঁচের চারটিই ঘটেছিল দলগুলো প্রথম ইনিংসে। একমাত্র প্রোটিয়ারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় ডাকের পর ১০০ রান করতে পেরেছিল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ