নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে সব সময়ই আইসিসি পাশে থাকবে। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে সোমবার এ কথা বলেন আইসিসি চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এদিন গ্রেগ বার্কলে সহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। বিসিবির বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আইসিসি’র চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ক্রিকেটের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে আইসিসি সব সময় পাশে থাকবে।
এদিকে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনের খেলা শেষে চালকের আসনেই রয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক দল প্রথম দিন শেষে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে তুলেছে ২৭৭ রান। মুশফিক ১১৫ ও লিটন ১৩৫ রানে অপরাজিত আছেন। শেষ দারুণ হলেও দিনের শুরুটা কিন্তু ছিল ঠিক এর বিপরীত। কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দোর তোপে খেলা শুরুর পৌনে এক ঘণ্টার মধ্যেই প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। একে একে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (০), তামিম ইকবাল (০), মুমিনুল হক (৯), নাজমুল হোসেন শান্ত (৮) ও সাকিব আল হাসান (০)। মাঠে যখন বাংলাদেশ দলের এমন করুণ অবস্থা, ঠিক সেই সময় আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে’কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ফলে স্টেডিয়ামে থেকে দিনের শুরুতে বাংলাদেশ দলের এমন ভয়াবহ বিপর্যয় তাকে দেখতে হয়নি। যদি এটি দেখতেন, তাহলে হার্ট অ্যাটাক করে ফেলতেন বলে জানান পাপন। সোমবার দিনের খেলা শেষে আইসিসির চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এসে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, ‘ওই সময় থাকলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতো (হাসি)। আল্লাহর রহমত আমি ছিলাম না। আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম।’
তিনি জানান, সকালের ঐ সময়টায় পাপনের কাছে খেলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু উত্তর দেওয়ার সাহস পাননি বিসিবি সভাপতি। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এই খেলার কী অবস্থা?’ আমি তখন বলেছি, ‘আপা, সাহস নাই দেখার। আমি মাঠে না যাওয়া পর্যন্ত খুলছি না।’
পাপন যোগ করেন, ‘তো মাঠে এসে এখানে ঢোকার সময় লিফটে উঠে দেখলাম এই অবস্থা। এটা তো বড় ধরনের একটা শক! তো যাই হোক, যেভাবে মুশফিক ও লিটন ব্যাট করছে এটি বিশেষ কৃতিত্বের দাবিদার। এটি অবিশ্বাস্য। আমি নিশ্চিত সবাই এ জুটিতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। অমন চাপে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। ওরা অসাধারণ খেলেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।