গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, যে কোন বিপদে দুর্যোগে মাঠে আছেন আলেম সমাজসহ ইসলামপন্থিরাই। বিগত করোনায়ও মাঠে থেকে করোনায় মৃতবরণকারীদের দাফন কাফন করেছেন আলেম সমাজই। সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় মাঠে কাজ করছে আলেম সমাজ তথা ইসলামপন্থিরা। তথাকথিত গণকমিশন ও ঘাদানিকদের তো এসব কাজে দেখা যায় না। তথাকথিত গণকমিশনের লোকজনই তো দুর্নীতির সাথে জড়িত। আজকের সকল জাতীয় মিডিয়ায় আসছে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের ভয়াবহ চিত্র। কোন আলেম এর সাথে জড়িত নয়। কাজেই আলেমদের বিরুদ্ধে কাজ করতে যাদের অন্তরে ভয় হয় না তারা ইসলাম ও মানবতার দুশমন। তিনি বলেন, কথা বার্তা পরিস্কার আলেম ও কওমি মাদরাসা বিরুদ্ধে লেগে কোন লাভ নেই। এর পূর্বেও বহু শক্তি কওমি মাদরাসা ও আলেমদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে কোন লাভ হয়নি। কেননা আলেমদের সাথে সম্পর্ক মহান রব্বুল আলামিনের।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ডেমরার ছোট পাইটি শায়েখ ড. মুস্তাক আহমদ দা.বা. পরিচালিত খানকা ও মাদরাসা শায়খ যাকারিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাদরাসার প্রতিষ্ঠার পরিচালক শায়েখ ড. মুস্তাক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি সবাই দেখছে। কিন্তু সে অনুযায়ী সহায়তা করা হচ্ছে না সরকার। ফলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের খুবই জরুরি।
বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন ঃ এদিকে, গণধিকৃত ভুঁইফোড় গণকমিশন কর্তৃক দেশের ১ হাজার মাদরাসা এবং ১১৬জন শীর্ষস্থানীয় পীর মাশায়েখ, আলেম ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগে অভিযুক্ত করে তৈরিকৃত শ্বেতপত্র দুদকে হস্তান্তরের ন্যাক্কারজনক অপকর্মের তীব্র নিন্দা এবং এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনানুগ দৃষ্ঠান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন।
সম্প্রতি বাংলাদেশী মুসলিমস ইউ কে এর উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনস্থ সেন্টার ফর ইসলামিক গাইডেন্সের সেমিনার হলে এক প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয় । সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শায়খ ইমাদাদুর রহমান মাদানীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা শাহ মিজানুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উলামায়ে কেরামগণ বলেন,কথিত ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত গণকমিশন জনগণের মধ্যে বিভেদ বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। ইসলাম ও মানবতার দুশমন ঘাদানিক চক্র বাংলাদেশকে একটি ব্রাম্ম্যন্যবাদী রাষ্ট্র বানাতেই দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন শ্বেতপত্র জমা দিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় উপস্থিত অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামি শরিয়া কাউন্সিল ইউকের চেয়ারম্যান ও দাওয়াতুল ইসলামের আমীর শেখ মাওলানা আবু সাঈদ,খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব ও ইউরোপের পরিচালক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, দাওয়াতুল ইসলামের সাবেক আমীর শেখ মাওলানা এ কে এম মাওদুদ হাছান, ইষ্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আবুল হোসাইন খান,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ কের সভাপতি মাওলানা শোয়াইব আহমদ, খেলাফত মজলিসের ইউ কে সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রাহমান,বাংলাদেশি মুসলিমস ইউক’র সভাপতি মন্ডলির অন্যতম সদস্য ও অর্থসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ফারুকী, খেলাফত মজলিস ইউ কের সহসভাপতি হাফিজ মাওলানা হাছান নূরী চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির,জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ইউকের সেক্রেটারী হাফিজ, মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ,বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা রফিক আহমদ রফিক,লন্ডন ইকরা একাডেমির পরিচালক মাওলানা এফ কে এম শাহজাহান,বাংলাদেশি মুসলিম ইউকের প্রচার সম্পাদক মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম,দারুল উম্মাহ মসজিদের ইমাম ও ইসলামিক টিচার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা আবুল হাসানাত চৌধুরী, ও খেলাফত মজলিস লন্ডন সিটি শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।