Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদিকে তিনদিনের আল্টিমেটাম

প্রতিবাদ সমাবেশে মমতা-কেজরির হুঁশিয়ারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:০৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

ভারতে ৫শ’ ও এক হাজার টাকার নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় মোদি সরকারকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিন দিনের আল্টিমেটাম বেধে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যথায় পথে নেমে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একনায়কসুলভ কর্তৃত্ব নিয়ে দেশ চালাতে পারেন না। আমরা যে আন্দোলন চালাচ্ছি তা দেশ রক্ষার আন্দোলন। গত  বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মমতা ওই হুঁশিয়ারি দেন। এসময় কেজরিওয়াল অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করপোরেট বন্ধুদের ৮ লাখ কোটি রুপির ঋণ মওকুফ করার জন্যই নোট বাতিল করা হয়েছে। এর আগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মানুষ মরছে আর মোদি হাসছে! মানুষকে বিপদে ফেলার এই চক্রান্তের শেষ দেখে ছাড়ব। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। নোট বাতিলের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার এভাবেই কড়া বক্তব্য দিলেন মমতা। নোট বাতিলের প্রতিবাদে এদিন সকালে সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। দেশে আচমকা অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে বলেও শ্লোগান দেন দলের এমপিরা। পরে দুপুরে ওই গান্ধী মূর্তির সামনে জড়ো হয়েই প্রেসিডেন্ট ভবন যান মমতা। তার সঙ্গে মিছিলে পা মেলান জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। কেন্দ্রে সরকারের শরিক হয়েও এই ইস্যুতে সঙ্গে আছি জানিয়ে যোগ দেন শিবসেনার এমপিরা। শিবসেনা থাকায় কেজরিওয়াল নিজে হাজির না থাকলেও দলের এমপি ভগবন্ত মানকে মমতার মিছিলে শামিল হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া গুজরাটে পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেলের সংগঠন প্যাটেল নবনির্মাণ সেনার প্রতিনিধিও হাজির ছিলেন। মমতা বলেন, হার্দিককে তো রাজ্যের বাইরে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তাই আসতে পারেনি। প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। যারা এসেছে, তাদের ধন্যবাদ। ওদিকে, রাজ্যসভায় নোট বাতিল নিয়ে মসৃণভাবে আলোচনা শুরু হয়ে যাওয়ায় দলীয় এমপিদের ডেকে  ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। ধমকও দেন। বলেন, এমপিই হয়েছেন। রাজনীতিটা শিখলেন না! আর যেন ভুল না হয়। মানুষের হয়রানি নিয়ে অঙ্ক কষার দলে আমরা নেই। আমাদের লক্ষ্য একটাই, মানুষের দুর্ভোগ হলে তার প্রতিবাদ করতে হবে। তিনি বলেন, এটা আমার কোনও ব্যক্তিগত বিষয় নয়। আমি সাধারণ মানুষ। তাই সাধারণের জন্য সরব হয়েছি। এর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। রাজনৈতিক দলগুলি যেন ভুলে না যায়, মানুষই দল  তৈরি করে। দল মানুষ নয়। প্রেসিডেন্টের কাছে পাঁচ পাতার একটি স্মারকলিপি দিয়ে মমতা দাবি করেন, নোট বাতিলের এই তুঘলকি পদক্ষেপকে অবিলম্বে স্থগিত রাখা হোক। প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণাকে স্বেচ্ছাচারী আখ্যা দিয়ে মমতা প্রেসিডেন্টকে বলেন, আপনি একসময় দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তাই এই ঘোষণায় কীভাবে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বিপর্যয় আসতে চলেছে, তা আপনি বুঝবেন। তাই সরকারকে বলুন, এখনই যেন মানুষের দুর্ভোগ দূর করার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। মমতা বলেন, আমরাও কালো টাকার বিপক্ষে। কিন্তু মানুষকে দুর্ভোগে  ফেলে নয়। আদৌ এতে কালো টাকার কারবারিরা ধরা পড়বে তো? প্রশ্ন তোলেন মমতা। টাইমস অফ ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ