Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোহনবাগানের কাছে বসুন্ধরার বড় হার

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২২, ১০:১৭ পিএম

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপের ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় হারের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। আগের ম্যাচে গোকুলাম কেরালার কাছে হারা সেই মোহনবাগানের কাছেই হেরে গেছে কিংসরা। শনিবার কলকাতার বিশ্ব যুব ভারতী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়া ম্যাচে ফরোয়ার্ড লিস্টন কোলাসোর হ্যাটট্রিকের সুবাদে মোহনবাগান ৪-০ গোলে হারায় বসুন্ধরা কিংসকে। দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড ডেভিড উইলিয়ামস। সেই সঙ্গে এএফসি কাপে টানা পাঁচ ম্যাচ পর হারের তিক্ত স্বাদ পেল কোচ অস্কার ব্রুজেনের শিষ্যরা।

মাজিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে গাম্বিয়ান নুহা মারংয়ের একমাত্র গোলে জিতেছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই জয়সূচক গোলদাতাকে বাদ দিয়েই শনিবার একাদশ সাজিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন। নুহার পরিবর্তে একাদশে জায়গা পান নাইজেরিয়ান ম্যাথু চিনেদু। যিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম পর্বে শেখ জামালের হয়ে খেলেছিলেন। নুহার অভাবই যেন অনুভব করল কিংসরা। যার মাশুল দিল ম্যাচে বড় হার হজম করে। এছাড়া মিডফিল্ডার মো. ইব্রাহিমের পরিবর্তে ফরোয়ার্ড রিমন হোসেনকে মাঠে নামান ব্রুজোন। কিন্তু একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন বসুন্ধরার তিন ফরোয়ার্ড চিনেদু, মিগুয়েল ও রবসন।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে শট নেন রবসন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। পোস্টের পাশ ঘেষে বল চলে যায়। দুর্ভাগ্যের শুরু এখান থেকেই। কিছুক্ষণ পরেই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হয়। স্বাভাবিক খেলাটাও খেলতে পারছিলেন না ফুটবলাররা। যে কারণে ম্যাচের ১১ মিনিট পর খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। ৪০ মিনিট পর আবারও মাঠে গড়ায় খেলা। ম্যাচের ২৫ মিনিটে পিছিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। সতীর্থের বাড়ানো পাস খুজে নেয় লিস্টনকে। দুই ডিফেন্ডারের সঙ্গে জটলায় বল মারেন তিনি। কিংসের বক্সে থাকা বিশ্বনাথের কাছে চলে যায় বল। বাঁ পায়ে ক্লিয়ার করতে যাওয়া এ ডিফেন্ডার বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন। পিছলে পড়ে যান তিনি। ডান পায়ের আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে দেন লিস্টন (১-০)। মিনিট নয়েক পর ব্যবধান দ্বিগুন করে মোহনবাগান। কাউন্টার অ্যাটাকে বল পান লিস্টন। তখন কিংসের অর্ধ্বে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো ছাড়া আর কেউই ছিলেন না। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল ফেরানোর চেস্টা করেন জিকো। কিন্তু তাকে কাটিয়ে নিখুত ফিনিশিং করেন লিস্টন (২-০)। ৫২ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন লিস্টন কোলাসো (৩-০)। ৭৭ মিনিটে বদলি ফরোয়ার্ড ডেভিড উইলিয়ামস গোল করলে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায শেষে এই ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস। মঙ্গলবার গোকুল কেরালার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে বিপিএলের চ্যাম্পিয়নরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ