Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নলছিটিতে ২০ বস্তা আটা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

নলছিটি (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২২, ৮:২৪ পিএম | আপডেট : ৮:২৫ পিএম, ২১ মে, ২০২২

কালোবাজারে বিক্রিকালে জনতার ধাওয়া খেয়ে ঝালকাঠিতে নলছিটিতে ২০ বস্তা (এক টন) আটাসহ এক পিকআপ চালক পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার খাসমহল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত ডিলারের মাধ্যমে ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) আটা কালোবাজারে বিক্রিকালে জনতার তোপের মুখে পড়ে আটাভর্তি পিকআপ নিয়ে ওই চালক পালিয়ে যায়। তবে ওই আটা নলছিটি খাদ্য খাদ্যগুদামের নয় বলে দাবি করেছেন ওসিএলএসডি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খাসমহল এলাকায় একটি পিকআপে ২০ বস্তা আটা নিয়ে আসা হয়। পিকআপ থেকে চালক আটার বস্তাগুলো নামিয়ে এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ির গুদামে রাখছিল। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা ওই চালকের কাছে আটার বস্তাগুলো কোথা থেকে এসেছে জানতে চাইলে সে সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে জনতার তোপের মুখে পড়ে পিকআপ চালক আটার বস্তাগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ করে বলেন, সকালে যখন আটার বস্তাগুলো নিয়ে আসা হয় তখন রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। ওই সময় আটার বস্তাগুলো এক ব্যবসায়ির গোডাউনে রাখা হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে পিকআপ চালক উপস্থিত জনতাকে জানায়, 'আটাগুলো বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি গোডাউন থেকে পিকআপে করে এখানে আনা হয়েছে।' এমন বক্তব্যের পর জনতার তোপের মুখে পড়ে পিকআপ নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে দিতে নানা কূটকৌশল চলছে।

খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আব্দুল জব্বার জানান, এগুলো নলছিটি খাদ্য গুদামের আটা নয়। আর গুদাম থেকে আটা বিক্রির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লঙ্কাকাণ্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ