Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রযুক্তি নির্ভর ও আধুনিক শিশুপার্ক হচ্ছে ধূপখোলা মাঠে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পুরান ঢাকা এলাকায় একটি অত্যাধুনিক শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা খেলার মাঠে এ পার্কটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এনিয়ে ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার শিশুপার্কের আদলে এই মাঠে প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি আধুনিক শিশুপার্ক নির্মাণ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ডিএসসিসি’র প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ইট-কাঁঠ আর যান্ত্রিকতার এ শহরের মানুষগুলোও এখন অনেকটা যন্ত্র নির্ভর হয়ে গেছে। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার মতো নির্মল বাতাসটুকুও যেন কোথাও নেই। আর এ কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। তাদের শরীর ও মনের বিকাশে নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও বিনোদনের কোন স্থান। এ বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হাতে নেয়া হয়েছে এ প্রকল্প।
ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানান, এসব থেকে শিশুদের কিছুটা আনন্দ, বিনোদনের জন্য ধূপখোলা খেলার মাঠটি বিদেশি প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক শিশুপার্ক করার মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন হলে এ মাঠটি আধুনিক শিশুপার্কে রূপান্তরিত হবে।
স্থানীয়রা জানান, পুরান ঢাকার অধিকাংশ গলি ছোট ছোট। ড্রেনগুলোও উন্মুক্ত। পায়ে হেঁটে চলার রাস্তাও সরু। গলিতে একসঙ্গে দুটি রিকশা চলতে পারে না। ফলে হরহামেশায় ঘটে দুর্ঘটনা।
ডিএসসিসি সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার ৭ একর জমির ওপর ধূপখোলা খেলার মাঠটিতে প্রস্তাবিত শিশুপার্কটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ১০টি রাইডার থাকবে। যেগুলো দেশের সরকারি-বেসরকারি কোনো পার্কে এখনো ব্যবহার হয়নি। আর এতে ব্যয় হবে ১৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়াও অফিস, গেট, দেয়ালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এ প্রকল্পের অবকাঠামোর কাজ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে শুরুর কথা রয়েছে। আর শেষ হবে ২০১৮ সালের জুনে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ মাসেই শিশুপার্কটির ডিজাইন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। ডিজাইন যাচাই বাছাইয়ের পরই জানুয়ারিতে কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানী শহর ঢাকায় শিশুদের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে বিনোদনের পর্যাপ্ত পার্ক কিংবা বিনোদনের স্থান নেই। শাহবাগে যাও একটি শিশুপার্ক আছে, সেটিও এখন অনেক পুরানো হয়ে গেছে। এর বাইরেও যা আছে তাও জরাজীর্ণ। ওই পার্কে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া নেই। আর পুরান ঢাকা তো আরো জনবহুল। এ এলাকায় শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক তো দূরের কথা, হাঁটার জায়গাও নেই। এসব বিবেচনায় নিয়েই ধূপখোলা খেলার মাঠে অত্যাধুনিক শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, এটি ডিএসসিসির মেগা প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে শিশুদের আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র হবে। যা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো অত্যাধুনিকভাবে তৈরি করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ