বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিরাজগঞ্জে বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, ‘সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। শনিবার সকাল ৬টায় পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার। গত ১২ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার, শনিবার সকাল ৬টায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতের কারণে নদী-তীরবর্তী অঞ্চল কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর ও এনায়েতপুরে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। এতে করে বন্যার আশঙ্কা করছে শহরবাসী। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কিছু স্থানে নদী ভাঙন রয়েছে। তবে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।