বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় সড়ক অতিক্রম করা রেললাইনগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও কর্তৃপক্ষের যেন টনক নড়ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর গোয়ালখালি, জোড়াগেট, আলমনগরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অতিক্রম করা রেললাইনগুলোর দু পাশের পিচ ও ইট পাথর সরে গিয়ে রেললাইন রাস্তা থেকে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি উঁচু গেছে। ফলে ভারী যানবাহন পার হতে তেমন সমস্যা না হলেও ছোট ছোট যাসবাহন চলাচলে চরম ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় প্রতিদিনই ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। ২৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা পলিটেকনিক কলেজের পাশে রেললাইন পার হতে গিয়ে সাইকেল আরোহি আজিজুল ইসলাম পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২৩ এপ্রিল গোয়ালখালিতে রাস্তা থেকে উঁচু রেললাইন পার হওয়ার সময় রিকশা উল্টে আরোহী দৌলতপুরের ব্যবসায়ী সিরাজ হাওলাদার দু পায়ে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৬ মে জোড়াগেট নামক স্থানে রেললাইন অতিক্রমের সময় মোটর সাইকেল চালক সরকারি সুন্দরবন কলেজের ছাত্র ইকবাল হাসান মারাত্মক আহত হন। এছাড়া ১২ মে বৈকালি এলাকায় রেললাইনে ইজিবাইক উল্টে ৪ জন আহত হন। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলেও রেল কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মাঝে মাঝে বালু ও ইট ভাঙ্গা দিয়ে অস্থায়ীভাবে রাস্তার উচ্চতার সাথে লাইনের উচ্চতা ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দু দিন যেতে না যেতেই আবার আগের অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালিউল হক তমাল এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।