পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যারা আলেম ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে মিথ্যা শ্বেতপত্রের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার উস্কানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সংবিধান বিরোধী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী কথিত গণকমিশনের লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশ জাতি ইসলামবিদ্বেষী কথিত গণকমিশনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুচিন্তিত ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্রে শীর্ষ আলেম ওলামা ও ১ হাজার মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ : ঘাদানিকদের গঠিত কথিত গণকমিশনের শ্বেতপত্রে আলেমদের দুর্নীতিবাজ বলা বেমানান বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবাক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুল ওয়াদুদ ও সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম।
গতকাল এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, যারা দুর্নীতিতে আকুন্ঠ নিমজ্জিত এবং দুর্নীতির কারণে চরমভাবে অপমান অপদস্ত হয়ে বিদায় নিয়েছেন আজ তারা আলেমদের দুর্নীতির তদন্ত করে নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করতে চায়। নেতৃদ্বয় বলেন, তথাকথিত গণতদন্ত কমিশনের মাধ্যমে ১১৬ ধর্মীয় বক্তা ও ১০০০ মাদরাসার আলেমদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপবাদ দেয়া হয়েছে। নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের মুক্তিযোদ্ধারা মরে যায়নি, মানিকদের মত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই দেশ আজ রসাতলে। বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম বিরোধী সাম্প্রদায়িক মনোভাব উস্কে দেয়া কিছু লোক এবং সংবিধান বিরোধী গণতদন্ত কাজে যুক্ত অনেকের ব্যাপারেই ওলামা সমাজ রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে বিচার দাবি করেন।
বাংলাদেশ আলফেসানি ইসলামিক মিশন : বাংলাদেশ আলফেসানি ইসলামিক মিশন মহাসচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন ছালেহী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, কথিত ঘাদানিক গণকমিশন শ্বেতপত্রের মাধ্যমে স্বনামধন্য আলেম ওলামা ও কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। এতে দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা আলেম ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে মিথ্যা শ্বেতপত্রের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার উস্কানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, নাস্তিকদের প্রকাশিত তালিকায় আমরা সঙ্কিত নই কিন্তু কারা এর পিছনে ইন্দনদাতা তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াই করতে হবে। দেশ জাতি ইসলামবিদ্বেষী কথিত গণকমিশনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুচিন্তিত ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
নেছারাবাদী হুজুর
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, বিশ্বব্যাপী মুসলমানেরা এক কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। কী দেশে, কী বিদেশে সর্বত্রই এক মহা অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের যখন নাভিশ্বাস, সরকার যখন ফড়িয়া-ব্যবসায়ীদের কারসাজি নস্যাতে সচেষ্ট; তখন একদল সুযোগ সন্ধানী ঘর-পোড়ায় আলু পুড়ে খাবার উৎসবে নেমেছে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, এদের সঙ্গে মুনাফাখোড় সিন্ডিকেটের কোন যোগসাজস রয়েছে। এই চিহ্নিত নাস্তিক্যবাদীরা অতীতেও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার চেষ্টা করেছে, এখনও করে যাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আসর ঝালকাঠির নেছারাবাদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আলেম-ওলামাদের প্রতি নাস্তিক্যবাদী ষড়যন্ত্র ও মামলা-হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর এসব কথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।