Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যায় প্লাবিত সিলেটে সাড়ে ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২২, ১:০৭ পিএম

সাড়ে ৫ শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকেছে সিলেটে বন্যার পানি। এছাড়া ২ শ-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। এতে জেলার অন্তত সাড়ে ৭ শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাত থেকে সিলেটে ভারী বর্ষণ শুরু হয় সিলেটজুড়ে। এখনও চলছে। একই সঙ্গে উজান থেকে নামছে অবিরাম ঢল। ফলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল ও নগরীর প্রায় অর্ধেক এলাকা এখন বন্যাকবলিত। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানি ঢুকে নগরী সহ সিলেট জেলার সাড়ে ৫ শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে সরকারিভাবে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধের কোনো নির্দেশনা এখনও আসেনি। জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৪০০টি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত এরশেদ বলেন, ‘যেসব বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে, সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ‘বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জেলার সব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। যে বিদ্যালয়গুলোতে এখনও পানি ওঠেনি, সেগুলোকে প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে।’ এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় দেড় শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পানি উঠেছে। এগুলোতেও বন্ধ রয়েছে পাঠদান। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে কানাইঘাটে ৪২টির মধ্যে ৩৭টি, বিশ্বনাথে ৫১টির মধ্যে ৫টি, জৈন্তাপুরে ৩২টির মধ্যে ১২টি, সদরে ৯৫টির মধ্যে ১৮টি, গোয়াইনঘাটে ৪৮টির মধ্যে ১৮টি ও কোম্পানীগঞ্জে ২৬টির মধ্যে ১৫টি। এ ছাড়া দক্ষিণ সুরমা ও নগরে আরও ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, পানি বাড়ার কারণে প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছে। এগুলোতে আপাতত পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৯৯টি ও নগরে ১৭টি বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ২০টি কলেজ প্লাবিত হয়ে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে, অনেক স্থানে স্কুল কলেজে পানি না উঠলেও পাশ^বর্তী লোকালয়গুলোতে পানিবন্দি মানুষ। সেকারনে ঘর থেকে বের হ্ওয়াই দুষ্কর। এই অবস্থায় স্কুল কলেজে য্ওায়ার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি হুমকির মুখে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ