মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার পর এবার ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে সরব হলেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) চিফ মেহবুবা মুফতি। তিনি অভিযোগ করেন, বিবেক অগ্নিহোত্রীর সিনেমা উপত্যকার পরিবেশ অশান্ত করে তুলছে।
সরকারি কর্মচারী কাশ্মীর পণ্ডিত রাহুল ভাটের খুনে সপ্তাহখানেক ধরে অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর। গত ১২ মে অফিসেই জঙ্গি হামলায় নিহত হন ৩৫ বছরের রাহুল ভাট। ফারুক আবদুল্লার মতো মেহবুবা মুফতিরও মত, উপত্যকার পুরনো জখম খুঁচিয়ে তুলেছে কাশ্মীর ফাইলস। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই এমন ঘটনা ছবিতে দেখিয়ে হিংসায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের সামনে মুফতি বলেন, ‘১৯৮৯ সালের ঘটনার পর আমরা উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করেছিলাম এবং তা বজায়ও রেখেছিলাম। ২০১৬ সালে উপত্যকার পরিস্থিতির যখন সবচেয়ে অশান্ত ছিল তখনও কেউ মারা যাননি। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে কোনও আক্রমণ হয়নি। কিন্তু দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি আবার হিংসায় উস্কানি দিয়ে কাশ্মীরকে অশান্ত করে তুলেছে।’
একইসঙ্গে তিনি এই পরিস্থিতির জন্য নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারকেও দায়ী করেছেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রসঙ্গ তুলে মেহবুবা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, ‘এই সরকার সমস্ত মসজিদের পিছনে পড়েছে। আসল ইস্যু থেকে নজর ঘেরাতে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা যেখানে প্রার্থনা করব আমাদের আল্লাহ সেখানেই আছেন। বরং আমাদের তালিকাটা দিয়ে দিন কোন কোন মসজিদকে আপনারা নিশানা করেছেন।’
মেহবুবার সাফ কথা, এই ধরনের ছবির সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক থাকে না। তাই এই ধরনের ছবি আগে নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ, এই ধরনের ছবির সম্প্রচার আসলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও ঘৃণা তৈরি করে। এই ধরনের ছবি চললে কখনই সৌভ্রাতৃত্ব ও অখণ্ডতার পরিবেশ তৈরি হওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ইদানীংকালে সংবাদমাধ্যমের একাংশও ভারতে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে। একজন মুসলিম একজন হিন্দুকে খুন করে, সেই রক্ত ভাতে মাখিয়ে সেই ভাত নিহতের স্ত্রীকে খেতে বলবে? এটা কখনও সম্ভব? ছবিতে দেখানো এই দৃশ্যের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।