গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
যেখানেই সম্মেলন সেখানেই প্রতিরোধ, একই স্থানে-একই সময়ে পাল্টাপাল্টি সম্মেলন নির্ধারণ এবং অব্যহতি ও অবাঞ্চিত ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে স্থগিত হল খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন। কেএমপিও খুলনা মহানগরীর কোথাও প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে রাজি হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার নগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে ৫ থানা ও মহানগর সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আগামী ৩ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
দলীয় সূত্রমতে, গত ১২ নভেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম আরিফুর রহমান মিঠুসহ ছয় জনকে দলীয় কর্মকা- থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অপরদিকে, মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এবং খালিশপুর এলাকায় তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বিবৃতি দেন এসএম আরিফুর রহমান মিঠু। এতে শুরু হয় প্রকাশ্য বিরোধিতা। অবশ্যই এর আগেই, নগর বিএনপির সম্মেলনের বিরোধিতা করে আসছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা ও সাবেক ছাত্রনেতা তরিকুল ইসলাম জহিরের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটি। এ ছাড়া খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আসগর লবী গ্রুপের কয়েকজন নজরুল ইসলাম মঞ্জুর কুশপুত্তলিকাদাহসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা করে। সর্বশেষ, গত ১৫ নভেম্বর দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা ও কোষাধ্যক্ষ আরিফুর রহমান মিঠু মহানগর ও ৫ থানার সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে খুলনা বিএনপির ঘরোয়া রাজনীতি। দু’গ্রুপেই কেন্দ্রে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন।
অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে সব সম্মেলনে স্থগিতের ঘোষণা দেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।