Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত জানালেই পি কে হালদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা

আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ আত্মসাৎ করে পালানো পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভারত সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে কিছু জানায়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে ভারত এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে জানানোর পরই তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনঃনির্মাণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আলোচনা সভা আয়োজন করে।

তিনি বলেন, পি কে হালদার ওয়ান্টেড ব্যক্তি, ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরে তাকে চাচ্ছি। সে গ্রেপ্তার হয়েছে, তবে আমাদের কাছে এখনও (ভারত থেকে) অফিসিয়ালি কিছু আসেনি। আমাদের যা কাজ থাকে, তা হলো আইনগতভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও তার চার সহযোগীকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পি কে হালদারের সহযোগীদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তাকে ইডির হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। সংস্থাটি পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের সম্পদের সন্ধানে গত দুদিনে অন্তত ১০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। প্রধানত আর্থিক কেলেঙ্কারি, বেআইনিভাবে ভারতে অর্থ পাঠানো, বিদেশে অর্থ পাচার ও আইনবহির্ভূত সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি। অবশ্য এ পর্যন্ত কতগুলো বাড়ি, জমি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হদিস পাওয়া গেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা যায়নি। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার বাংলাদেশে আর্থিক খাতের শীর্ষ দখলদার ও খেলাপিদের একজন। ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান, পরে কানাডায় পাড়ি জমান।

ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ ও বসবাস, বেনামে সম্পত্তি কেনা ও আইনবহির্ভূতভাবে অর্থ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা- এসব অভিযোগে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা অর্থ পাচার আইনের ওপর। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারের ব্যবসা দেখাশোনা করা তার ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ