Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার গঠনে স্থবিরতা মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন তা কেবল আমিই জানি : ট্রাম্প

রিপাবলিকান শিবিরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার গঠনের উদ্যোগে ভাটা পড়েছে। ট্রাম্প শিবিরের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এমনটা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা গেছে। ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক শপথ নেবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। এদিকে অন্তর্বর্তী দলে কোন্দলের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, সুসংগঠিত প্রক্রিয়ায় সবকিছু এগোচ্ছে, এর ভিত্তিতেই আমি পরবর্তী মন্ত্রিসভা ও অন্যান্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেব। তবে শেষপর্যন্ত কারা থাকছে তা কেবল আমিই জানি! নির্বাচনপরবর্তী সপ্তাহটা ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারেই কাটিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। মার্কিন রীতি মেনে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের দিন থেকে শুরু করে ট্রাম্পের শপথের আগ পর্যন্ত কাজ করছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গঠিত এক অন্তর্বর্তী দল। প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশন অ্যাক্ট নামের আইনের অধীনে এই দল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সরকার গঠন ও অন্যান্য পদে নিয়োগ দেয়াসহ পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে। ট্রাম্পের  অন্তর্বর্তী দলটি ১৬ সদস্যের। ওই নির্বাহী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। নির্বাচনী প্রচারে যে কয়জন সিনিয়র রাজনীতিককে ট্রাম্প নিজের পাশে পেয়েছিলেন, ক্রিস্টি তাদের অন্যতম। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই ক্রিস্টিকে সরিয়ে দিয়ে তার স্থানে নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সান্ত¡না হিসেবে ক্রিস্টিকে এই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। ক্রিস্টির পদাবনতির পর তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত সাবেক কংগ্রেসম্যান মাইক রজার্সও এই কমিটি থেকে সরে গেছেন। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা বলে বিবেচিত হতেন তিনি। বলা হচ্ছে, ট্রানজিশন টিমের সাবেক প্রধান ক্রিস ক্রিস্টির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন বলা হয়, এছাড়া এই টিমের আরেক সদস্য ম্যাথিউ ফ্রিডম্যানকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার সঙ্গেও ক্রিস্টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, ক্রিস ক্রিস্টিকে ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা কমিটির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের পর ক্রিস্টি ও তার কয়েকজন সহযোগী এখন আর ওই উপদেষ্টা কমিটিতে কাজ করছেন না।  এজন্য তারা অভ্যন্তরীণ সঙ্কটকেই দায়ী করেছে। নির্বাচনী প্রচারে যে কয়জন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিককে ট্রাম্প নিজের পাশে পেয়েছিলেন, ক্রিস্টি তাঁদের অন্যতম। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই ক্রিস্টিকে সরিয়ে দেয়া হয়। যে ক্রিস্টির নেতৃত্বে ওই অন্তর্বর্তী দল কাজ করছিল তিনি চলে যাওয়ায় এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মন্থর হয়েছে কাজের গতি। সবমিলে স্থবিরতা নেমে এসেছে রিপাবলিকান শিবিরে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার বলেছেন, তিনি এ সপ্তাহে ট্রাম্প ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। তবে গর্ডন ট্রোবিজ নামে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। অবশ্য এ ব্যাপারে ট্রাম্প ট্রানজিশন টিম বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, তাড়াহুড়ো করে এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চায় না বলেই এমনটা হচ্ছে। ট্রাম্পের মুখপাত্র জ্যাসন মিলার পলিটিকোকে বলেন, নির্বাচনপরবর্তী ছয়দিনে আমাদের দলটির গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে এবং আমরা তাড়াহুড়া করে এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, ইউএস টুডে, পলিটিকো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ