মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চাঁদ নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বহু বিজ্ঞানী গবেষণা করছেন। চাঁদে বসবাস সম্ভব কিনা সে বিষয়েও গবেষণা চালু আছে বহুদিন ধরে। এর মধ্যেই এক নতুন খবর সামনে এসেছে, যার ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। চাঁদে নাকি সবুজ গাছপালা জন্মাচ্ছে, ফলছে নানা শস্য, শাকসবজি। কথাগুলো শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও বিজ্ঞানীরা এ পথেই হাঁটছেন। সেই চেষ্টায় সফলও তারা। চাঁদ থেকে আনা মাটিতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে গাছ জন্মিয়েছেন তারা। গত শতকে যুক্তরাষ্ট্রের চন্দ্রাভিযানের সময় ওই মাটি পৃথিবীতে আনা হয়েছিল। গাছ জন্মানোর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের। এ নিয়ে তাদের গবেষণাপত্রটি বৃহস্পতিবার জীববিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী কমিউনিকেশনস বায়োলজিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার সায়েন্সের (আইএফএএস) অধ্যাপক রব ফেরল। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে মহাকাশে বড় পরিসরে অভিযান চালাবে মানুষ। এ সময় চাঁদকে মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। ফলে অক্সিজেন ও খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সেখানে গাছপালা লাগানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।
এমন চিন্তা থেকেই মাথায় আসে চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মানোর পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী কাজে নেমে পড়েন রব ফেরল। সঙ্গে ছিলেন আইএফএএসের আরেক অধ্যাপক অ্যানা লিসা পলসহ কয়েকজন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কাছে সংরক্ষিত চাঁদের মাটি পেতে আবেদন করেন তারা। গত শতকে নাসার অ্যাপোলো ১১, ১২ ও ১৭ অভিযানের সময় চাঁদ থেকে ওই মাটি সংগ্রহ করা হয়।
চাঁদের মাটি পেতে গবেষকেরা নাসার কাছে আবেদন করেছিলেন ১১ বছর আগে। অবশেষে বছর দেড়েক আগে মাটি দিতে রাজি হয় সংস্থাটি। তা-ও মাত্র ১২ গ্রাম মাটি পাঠানো হয়। অল্প এ মাটি নিয়েই কাজে লেগে পড়েন গবেষকেরা। তাতে মেশানো হয় পানি আর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। এরপর সেই মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয় ‘থ্যাল ক্রেস’ নামের একটি গাছের বীজ। এ গাছ ফুলকপি, সরষে এবং ব্রোকোলির মত একই উদ্ভিদ পরিবারের অংশ। গবেষণাটি করার জন্য টিমের তরফে গত ১১ বছরে তিন বার আবেদন কর হয়েছে নাসার কাছে।
এত প্রচেষ্টার পরও চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন গবেষকেরা। তবে সব শঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে প্রায় সব কটি বীজ থেকে চারা বের হয়। এ বিষয়ে অ্যানা বলেন, আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এমনটি হবে তা ভাবিনি। এর অর্থ, চাঁদের মাটি গাছের জন্ম নিতে বাধা দেয় না।
এক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও গবেষকদের নজরে আসে। জন্ম নেওয়া চারাগাছগুলোর কয়েকটি আকারে ছোট, আর বেড়ে উঠতে অন্যগুলোর চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে। এ গবেষণার পরে মনে করা হচ্ছে যে, এ গাছগুলো চাঁদে জন্মাতে পারলে সেখানে খাদ্য এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এ দশকের শেষে নাসা চাঁদে মানুষ পাঠানোর কথা চিন্তা করছে। সূত্র : নিউজএনপিআর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।