Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘সাংবাদিকদের ভয়ের পরিস্থিতিতে রেখে কোনোভাবেই সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না’

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২২, ৯:৫০ পিএম

‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। গণতন্ত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি চেতনা, একটি স্বপ্ন, একটি দাবি। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। আইনি জটিলতার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিষ্পেষণের মাধ্যমে, সাংবাদিকদের ভয়ের পরিস্থিতিতে রেখে দেশে কোনোভাবেই সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। এই ভয় থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’

শনিবার (১৪ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এসময় সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সামগ্রিকভাবে আইনি কাঠামোর যে বিধি আমাদের সাংবাদিকতাকে ব্যাহত করছে তার একটি সার্বিক মূল্যায়ন করবো। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নারী সাংবাদিকদের যে হেনস্তা করা হয় তাদের সুরক্ষার্থে আমরা উদ্যোগ নেবো। বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ আরও ভালো করার জন্য আমরা কাজ করবো। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও মালিকদের সঙ্গে নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আলোচনা করবে।

সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন প্রশ্ন তুলে মাহফুজ আনাম বলেন, ডিফরমেশন ল, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, কন্টেন্ট অফ কোড ল, কনটেন্ট অফ কোড ল স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করে। ডিফরমেশন ল’এর অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হেনস্তা করার বিরাট সুযোগ থাকে এবং করা হয়। নতুন করে আইসিটি অ্যাক্ট, ডিজিটাল অ্যাক্ট, গণমাধ্যমকর্মী আইন, ডাটা প্রটেকশন ল করা হয়েছে। আইনগুলোর নাম ভিন্ন কিন্তু সবগুলোই প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ঘুরে-ফিরে স্বাধীন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। যারা সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত সেগুলোতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য প্রয়োগ করা হয়।

তিনি বলেন, স্বাধীন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে এত আইন কেন? যেসব আইন সরাসরি তাদের (সাংবাদিকদের) কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন? আমরা কী করি যার জন্য এত আইন দিয়ে আমাদের হাত-পা বেঁধে দিতে হবে? একটা বিষয়ে সাধুবাদ জানাই, আমরা সবাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। প্রত্যেক সাংবাদিককে আহ্বান করবো, আপনারা এই আইনটি বিস্তৃতভাবে, খুব গভীরভাবে পর্যালোচনা করেন। এই আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখানে ২০টি জায়গায় আপনাদের আটকে দেওয়ার সুযোগ আছে। এর মধ্যে ১৪টি অজামিনযোগ্য। সাংবাদিক হিসেবে আপনি কী অপরাধে অপরাধী যে আপনাকে জামিন দেওয়া যাবে না? মামলা হলে বিচার তো পরের কথা, তার আগে আপনি জেলের মধ্যেই পড়ে রইলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ