পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শতাধিক ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’র দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেয়া এক তালিকা নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এক হাজার মাদরাসার তথ্য-উপাত্তের ওপর তদন্ত করে এই তালিকা জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন।
কথিত এই ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’র তালিকায় দেশের প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় আলেম-উলামাদের নাম দেখা গেছে। এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। শিক্ষা প্রতি0ষ্ঠানের মধ্যে কেবল মাদরাসা এবং আলেমদের জড়িয়ে এই তালিকা প্রকাশ করায় বেশিরভাগই ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় তুলেছেন।
বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা তুলে দেওয়া হয়। গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিল।গণকমিশনের তালিকায় ১১৬ জনের নাম রয়েছে।
এনিয়ে জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘১১৬ আলেম ও ১ হাজার মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরি করেছে ঘাদানিকের গণতদন্ত কমিশন। এদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ নানা আর্থিক অনিয়মের রিপোর্ট দুদকে জমা দিয়েছে ঘাদানিকের এই কমিশন। এ ধরনের কমিশন গঠনের আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা তাদের আছে কিনা সে প্রশ্ন তুলবো না। সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা উচিত- সেই নিরিখে এই গণতদন্ত কমিশনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানাতে পারতাম, যদি দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিষয়েও এই গণতদন্ত কমিশন একই ধরনের আগ্রহ দেখা তো। 'বড় প্রকল্প বড় দুর্নীতির' খোঁজে একই ধরনের আগ্রহ দেখাতো। বালিশ, পর্দা, সুঁচ প্রভৃতি ক্রয়ে মহাসাগর চুরির বিষয়ে গণতদন্ত কমিশন গঠন করতো!
আচ্ছা, আলেমরা যদি ঘাদানিকের আয়-ব্যয়ের উৎস, খতিয়ান ও স্বচ্ছতা অনুসন্ধানে একই ধরনের গণতদন্ত কমিশন গঠন করে তাহলে কি ঘাদানিক তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে? এই কমিশনের এক সদস্য বাড়ির লোভে তার বিধবা বৃদ্ধা মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন, এ বিষয়ে উনারা একটি গণতদন্ত কমিশন করবেন কি?’’
একজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘ঘাদানিকরা সব আলেমের বিরুদ্ধে এক। কমিটি আলেমদের এক কাতারে নিয়ে এসেছে অলরেডি। এখন বাকি কাজ আলেমদের। আলেমসমাজ কি সিদ্ধান্ত নেয় দেখা যাক!’’
ক্ষোভ জানিয়ে আলম ফজলুর রহমান লিখেছেন, ‘‘এই ওয়ায়েজিন মাওলানাদের বিরুদ্ধে কোর্টে কোন রকম মামলা না থাকলে কিংবা তারা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত না হলে এই ঘাদানিকের কমিটি যারা তাদের নামে মৌলবাদী এবং মৌলবাদী সংগঠনের সহায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা ঘাদানিকের এই কমিটির বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। এবং করা উচিত। ইচ্ছা হল একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করার কোন অধিকার ঘাদানিক এর নাই। আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি এই ওয়াইজিন মাওলানা সাহেবরা ঘাদানিকের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কোর্টে মামলা দায়ের করবেন।’’
মোঃ মিটু লিখেছেন, ‘‘এদেশে ধর্মীয় শাসন বিশ্বাসীরা দেশ পরিচালনা করতে পারবে কি না তা বলতে পারবো না। তবে একথা বলতে পারি যতই মানুষকে ধর্ম থেকে দুরে রাখার চেষ্টা করা হোক তা সফল হবে না। আর যে দুই জন ষড়যন্ত্রের মূলহুতা তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে। তো কিছু লোটপাট করার ধান্দা।’’
ঘাদানিকের তালিকার জবাবে আরিফুল হক লিখেছেন, ‘‘ঠিক আছে ঐ ১১৬ জন মাহান আল্লাহর সাথেই ব্যবসা করে। আল্লাহতালা কোরআনেই বলে দিয়েছেন " আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসার কথা জানিয়ে দেবো যার মাধ্যমে তোমরা পরকালে জান্নাত লাভ করবে "।
আবু সাইদের মন্তব্য, ‘‘যারা এই পত্র তৈরী করেছে তাঁরাই সবচেয়ে বড় উগ্রবাদী। ইসলাম সমস্ত উগ্রবাদকে নস্যাৎ করে দেয়, এটা ইসলামের শক্তি। যারা ইসলামের প্রচার আর প্রসারকে উগ্রবাদ বলে তাঁরাই দেশকে অশান্ত করতে চায়। সুতরাং এসব বেয়াদবদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।