বৃষ্টির বিকেলে মুখরোচক কিছু খেতে মন চাইলে তৈরি করে নিতে পারেন কলিজা সিঙ্গারা। এ ধরনের খাবার বাইরে থেকে কিনে না খাওয়াই ভালো। কারণ সেসব খাবার অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ভয় থাকে। কলিজা সিঙ্গারা তৈরি খুব বেশি কষ্টকর নয়। রেসিপি জানা থাকলে সহজেই তৈরি করে খেতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
পুর তৈরির জন্য যা লাগবে
আলু (সেদ্ধ করে ছোট কিউব করে কাটা)- ২টি
রান্না করা গরুর কলিজা- ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি- ১/৪ কাপ
তেল- ২ টেবিল চামচ
বিট লবণ- সামান্য
আদা বাটা- ১/২ চা চামচ
ধনে ও জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি- ১/৪ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি- ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
প্যানে তেল হালকা গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। আদা বাটা দিয়ে অন্য গুড়ো মশলা দিয়ে দিন। অল্প পানি দিন যাতে মসলা পুড়ে না যায়। এরপর আলু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আলু একটু ভর্তা হবে। কলিজা দিয়ে মিশিয়ে ৫ নিনিট দমে রাখুন। বিট লবণ দিন। কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
খামির তৈরির জন্য যা লাগবে
ময়দা- ২ কাপ
তেল- ২ টেবিল চামচ
লবণ- স্বাদমতো
কালিজিরা- ১ চা চামচ
পরিমাণমতো- পানি।
যেভাবে তৈরি করবেন
সব উপকরণ পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাখিয়ে শক্ত খামির বানিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। রুটি তৈরির পিড়িতে নিয়ে ময়দা ছিটিয়ে পাতলা ডিমের আকারের রুটি বানিয়ে নিন। ছুরি দিয়ে রুটির মাঝখানে কেটে নিন। এক ভাগ নিয়ে তার চারপাশে পানি লাগিয়ে নিন। হাতে নিয়ে পানের খিলির আকারে বানিয়ে হাতের তর্জনি ও বুড়ো আঙ্গুল গোল করে তার মাঝখানে রাখুন। খিলির মাঝে পুর ভরে দিন। উপরে ১/৪ ইঞ্চি খালি রাখুন। খিলির উঁচু পাশ দিয়ে পুর ঢেকে দিন। দুইপাশ পানি দিয়ে চেপে লাগিয়ে নিন। মুখ বন্ধ করে হাত দিয়ে পুরো সিঙ্গারা কিছুটা চেপে নিন। সিঙ্গারাগুলো ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। পছন্দের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।