রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর সাহাপুর এলাকায় যৌন হয়রানির জের ধরে সম্পা ও বর্ণা নামে দুই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নিজ ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় দুই বান্ধবীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা উভয়েই কাটাখালীর বেলঘড়িয়া আবদুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তারা সেই সুবাদে দুইজন বান্ধবী। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে প্রাইভেট পড়ে সম্পার বাড়িতে আসে। কোনো এক সময় তারা একই ঘরের ভিতরে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে তাদের একই ওড়নায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তাদের লাশ উদ্ধারের সময় ওই দুই ছাত্রীর হাতে দু’টি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। এদের মধ্যে সম্পার হাতের সুইসাইড নোটটিতে লিখা ছিল বিপ্লব মাস্টারের নাম। আর বর্ণার হাতের নোটে লিখা ছিল মুন্না নামে এক ছেলের নাম। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের উত্ত্যক্ত করার কারণে দু’জনে আত্মহত্যা করেছে। সম্পার মা শরিফা বেগম জানান, বিকেল চারটার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে সম্পা। সঙ্গে তার বান্ধবী প্রতিবেশী নাজমুল হকের মেয়ে বর্ণাও ছিল। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে দু’জনেই সম্পার ঘরে ঢোকে।

এরপর তারা খাতায় কী যেন লিখছিল। এ অবস্থায় সম্পার মা শরিফা বাড়ির একটু বাইরে যান। পরে বাইরে থেকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে সম্পার ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান। ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখে তিনি মেয়েকে দুপুরের খাবার জন্য ডাকতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাইরে থেকেই চেষ্টা করে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দু’জনের লাশ ঘরের বাঁশের তীরে ঝুলে থাকতে দেখেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, তারা দুই বান্ধবী। একই ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়নার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা আত্মহত্যার আলামত সংগ্রহ করছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।