পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেত্রকোণার মদন থানাধীন নায়েকপুর এলাকায় জমিতে ধান কেটে না দেওয়ায় শ্রমিক খায়রুল মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত বুধবার রাতে গাজীপুরের গাছা থানাধীন শরীফপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, শফিকুল ইসলাম (২৩) ও মোস্তাকিন ইসলাম (২০)।
গতকাল রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
মুক্তা ধর বলেন, শফিক ও মোস্তাকিনের দুলাভাই হক মিয়া একই এলাকায় ৪০ শতাংশ জমি কিনে ধান চাষ করেন। জমি বিক্রেতা এখলাছ মিয়ার ভাই এলাই মিয়া ওই জমির অর্ধেক অংশের মালিকানা দাবি করে তার দুলাভাইকে ধান কাটতে বাধা দেন। তখন তাদের দুলাভাই হক মিয়া তার লোকজনসহ ভিকটিম খাইরুল মিয়ার কাছে গিয়ে আরও শ্রমিক নিয়ে জমির ধান কেটে দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে গেলে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সম্ভাবনা থাকায় খাইরুল মিয়া ধান কাটতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ধান কেটে না দিলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান হক মিয়া। গত ৫ মে সকালে খাইরুল মিয়া তার গরুর ঘাস কাটছিলেন। এ সময় আসামিরা দেখেন ধান না কেটে খাইরুল মিয়া ঘাস কাটছেন। ঘাস কাটা বন্ধ করে জমির ধান কাটতে বললে খাইরুল আবারও অপারগতা প্রকাশ করেন।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে খাইরুলকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে খাইরুলের হাতে থাকা ঘাস কাটার কাস্তে ছিনিয়ে নিয়ে তা দিয়ে তার গলায় আঘাত করেন শফিকুল। তখন অন্য আসামিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খাইরুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।