মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের মহামারিতে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসেব অনুযায়ী এই সংখ্যা সান ফ্রান্সিসকো কিংবা সিয়াটলের পুরো জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। এছাড়াও এর অর্থ প্রতি ৩২৭ মার্কিনির মধ্যে একজন এই মহামারিতে মারা গেছেন। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) যখন কোভিড-১৯ কে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে তখন যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬৫ জন। এর পরের কয়েক মাসে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। নিউ ইয়র্ক শহরের মতো ঘন বসতির শহর এলাকার উর্বর ভিত্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। ২০২০ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত মোট মার্কিন নাগরিকের সংখ্যা। ২০২১ সালের জানুয়ারি নাগাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনার চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় করোনাভাইরাসে। ওই সময়ে চার লাখ ৫ হাজারের বেশি মার্কিনির মৃত্যু হয় এই ভাইরাসে। পৃথিবীর খুব অল্প কয়েকটি স্থানেই পৌঁছাতে পারেনি করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাস নিশ্চিতভাবে প্রাণ কেড়েছে অন্তত ৬৭ লাখ মানুষের। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এছাড়া, গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। মূলত এই ধরনের প্রাণহানি বৃদ্ধির সূচনা হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে আফিম সংক্রান্ত একটি ব্যথানাশক ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের মাধ্যমে। এরই ধারবাহিকতায় হেরোইন এবং অতি স¤প্রতি অবৈধ ফেন্টানাইলের সেবনের কারণে প্রাণহানি বেড়েছে অনেক বেশি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন এক লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক এসব মানুষ প্রাণ হারান। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিষয়ক প্রধান সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) স্থানীয় সময় বুধবার এই তথ্য সামনে আনে। মূলত বিপুল এই প্রাণহানিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের মহামারিতে আরেকটি দুঃখজনক রেকর্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানির এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যালোচনা করে আনুমানিক একটি প্রতিবেদনে তৈরি করে থাকে সিডিসি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউজের ডিরেক্টর ড. নোরা ভলকো মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে প্রাণহানির সর্বশেষ এই পরিসংখ্যানকে ‘সত্যিই বিস্ময়কর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এদিকে সিডিসির এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর সরব হয়েছে হোয়াইট হাউসও। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বাসভবন ও কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়া স¤প্রতি ঘোষিত নিজেদের জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কৌশলের বিষয়টিও সামনে আনা হয়েছে বিবৃতিতে। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।