গরম ভাতের সঙ্গে মাছ ভাজা বা মাঝের ঝোল বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। মাছে আছে নানা ধরনের পুষ্টি। শুধু মাছই নয়, মাছের ডিমও অনেক উপকারী। মাছের ডিম ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি আমাদের শরীরে ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শরীরের অনেক সমস্যা দূর করতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
যেকোনো অসুখ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা জরুরি। এতে যেকোনো ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা সহজ হয়। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে মাছের ডিম। নিয়মিত মাছের ডিম খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
চোখ ভালো রাখে
বর্তমানে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ঘরে ঘরে। সেজন্য খুব কম বয়সেই চোখে চশমা দরকার হয় অনেকের। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে মাছের ডিম। কারণ মাছের ডিমে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, এটি চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এতে থাকে ডিএইচএ ও ইপিএ যা শিশুর চোখের জ্যোতি বাড়ানো ও রেটিনাকে আরও বেশি কার্যকরী করে তুলতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
আমাদের মস্তিস্থের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে মাছের ডিম। গবেষকরা বলছেন, এতে থাকা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড এই কাজে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক ভালো রাখার পাশাপাশি রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কমাতে কাজ করে মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
রক্ত পরিষ্কার করে
রক্তের দূষিত পদার্থ দূর করতে কাজ করে মাছের ডিম। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান রক্ত পরিষ্কার করে ও হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। যে কারণে কমে অ্যানিমিয়ার ভয়। রক্ত পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত মাছের ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
হৃদরোগে উপকারী
হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি। এই দুই উপাদান রয়েছে মাছের ডিমে। তাই হৃদরোগীদের জন্য মাছের ডিম বেশ উপকারী। নিয়মিত মাছের ডিম খেলে তা হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
দাঁত ও হাড় ভালো রাখে
আমাদের দাঁত ও হাড় ভালো রাখার জন্য অন্যতম কার্যকরী উপাদান হলো ভিটামিন ডি। মাছের ডিমে পাওয়া যাবে এই ভিটামিন। ফলে নিয়মিত মাছের ডিম খেলে তা দাঁত ভালো রাখে ও হাড় শক্ত করে।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়
সুস্থ থাকার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আপনি যদি মাছের ডিম খান তবে তা এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এবং সেইসঙ্গে প্রদাহও কমিয়ে দেয়। ফলে কমে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি।