পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবার কোরবানির পশুর ১৭টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বসবে ১০টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বসবে সাতটি পশুর হাট। গত বছর করোনা মহামারিতে দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে ২৩টি (ডিএনসিসি ১০, ডিএসসিসি ১৩টি) পশুর হাট বসানো হয়েছিল।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ডিএনসিসির অধীন হাটগুলো হলো- গাবতলী (স্থায়ী), বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই, এফ জি এইচ পর্যন্ত এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল ও যমুনা হাউজিং কোম্পানির এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীনের খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।
ডিএসসিসি অধীন হাটগুলো হলো- মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা ও কলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এর বাইরে সারুলিয়া স্থায়ী হাটটিতে পশু বেচাবিক্রি হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় এবার ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ মনে করলে হাটের সংখ্যা কমতেও পারে, আবার বাড়তেও পারে। তবে কমার সম্ভাবনা নেই। এর বাইরে সারুলিয়া (স্থায়ী) হাটটিতেও পশু বিক্রি হবে।
চালু থাকবে ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট : করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারও অনলাইন হাটকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সে লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো তারা কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট চালু করবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।
এদিকে প্রথম দফায় অস্থায়ী হাটের ইজারার সিডিউল ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গত মাসের ১৩ এপ্রিল ঘোষণা করা দরপত্রের বিক্রয়ের শেষ তারিখ ছিল ৮ মে। জমা দেয়ার তারিখ ছিল ৯ মে। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, নগর ভবন ও ১০টিআঞ্চলিক অফিস থেকে দরপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার (দুপুর ১টা পর্যন্ত) কথা উল্লেখ ছিল ঘোষণায়। কিন্তু আঞ্চলিক কার্যালয়ে দরপত্র জমা না নেয়ায় অনেকেই গুলশানে নগর ভবনে গিয়ে সময় মত দরপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ভুক্তভোগী নাজমুল হাসান, সাউদ সরকার এবং ইসমাইল হোসেন ইনকিলাব বলেন, ‘উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা’ হাটের সিডিউল জমা দিতে উত্তরায় আঞ্চলিক অফিস-১ এ গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে বলা হয়েছে এখানে সিডিউল জমা নেয়া হবে না। গুলশান নগর ভবনে জমা নেয়া হবে। তখন দ্রুত নগর ভবনে রওনা হই কিন্তু রাস্তায় জ্যাম থাকায় যেতে যেতে সময় শেষ হয়ে যায়। তাই সিডিউল জমা দিতে পারি নাই। মেয়র মহোদয়ের কাছে অনুরোধ জানানো পুনরায় টেন্ডার দেয়ার জন্য।
ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ইনকিলাবকে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে জমা দেয়ার বক্স থাকার কথা। জমা দেয়ার সময় কোন সমস্যা হলে আমাকে জানালে একটা ব্যবস্থা করে দিতাম। তিনি আরো বলেন, পশুর হাটের আবারো রিটেন্ডার হবে। যারা জমা দিতে পারেননি তারা পরবর্তীতে আবারো টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।