Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশি গরুতে ঠাসা

চট্টগ্রামের পশুর হাট অনলাইন ও পাড়ার হাটেই ক্রেতাদের আগ্রহ

রফিকুল ইসলাম সেলিম : | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২১, ১২:০৭ এএম

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। হাটগুলোতে দেশি গরুর সরবরাহ প্রচুর। মহানগরী এবং জেলার প্রতিটি হাট এখন দেশি গরুতে ঠাসা। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার খামারে সযত্নে লালিত-পালিত হৃষ্টপুষ্ট গরু নিয়ে হাজির হয়েছেন বেপারি ও খামারিরা। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে এবার ক্রেতা কম। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে ক্রেতাদের অনেকে ভিড় জটলা এড়াতে অনলাইনে পছন্দের গরু কিনে নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে এবার চট্টগ্রামে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক গরু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এ বছর চট্টগ্রামে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২০৬টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এরমধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬টি এবং উপজেলায় ২০০টি। এছাড়া ৩৭টি অনলাইন প্লাটফর্মে গরু বেচাকেনা হচ্ছে। নগরীর বেশিরভাগ অলিগলিতে এবার কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। মৌসুমি বেপারিরা গ্রামাঞ্চল এবং তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে গরু এনে পাড়ায় মহল্লায় বিক্রি করছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ক্রেতাদের অনেকে বাসার পাশ থেকে গরু কিনে নিচ্ছেন। এমন হাটের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরও এসব হাটে বেচাকেনা থেমে নেই।
ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরমধ্যে বেশ জমে উঠেছে পশুর হাট। কোরবানির পশু কিনে বাসায় ফেরার দৃশ্য নগরীর প্রতিটি এলাকায়। করোনা মহামারির মধ্যেও মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব আয়োজনকে ঘিরে ভিন্নরকম আমেজ সৃষ্টি হয়েছে পাড়া মহল্লায়। জানা যায়, এবার বাজারে গরুর দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন দাম কিছুটা বেশি। বিক্রেতাদের বক্তব্য তারা খরচ পুষিয়ে অল্প লাভেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। ক্রেতারাও বেশি ঘেরাফেরা না করে দ্রুত পছন্দমতো পশু কিনে বাড়ি ফিরছেন। এরপরও হাটগুলোতে ভিড় লেগেই আছে। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
নগরীতে এবার সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় অনুমোদিত পশুর হাট বসেছে ৬টি। গত ১২ জুলাই থেকে হাটগুলোতে বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে ঈদের সকাল পর্যন্ত। হাটগুলো হচ্ছে সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর বাজার, কর্ণফুলী গরু বাজার (নুর নগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন বাজার এবং ৪১ নং ওয়ার্ড বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, পটিয়া, আনোয়ারাসহ বিভিন্ন এলাকায় খামার ও কৃষকের বাড়িতে পালিত গরুর সরবরাহ এবারও বেশি। তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন খামার ও পাহাড়-টিলায় লালিত গরুও এসেছে পশুর হাটে। বাজারে মহিষ এবং ছাগলের সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রতিবারের মত এবারও বড় বড় পশুর হাটগুলোতে কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁসহ অন্যান্য এলাকা থেকে গরু এনেছেন বেপারিরা। বাজারে বড় গরু থাকলেও চাহিদা বেশি ছোট এবং মাঝারি গরুর। বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দামও অপেক্ষাকৃত বেশি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশুর হাট

২০ জুলাই, ২০২১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ