মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের মারিউপোল এখন রাশিয়ার অধীনে। এ অঞ্চলটির বাসিন্দাদের বড় অংশই রুশ ভাষাভাষী। মারিউপোলের উপরে রাশিয়ার বিজয়কে উদযাপন করছেন তারা। এখন রাশিয়ার আর দশটি শহরের মত করেই চলছে মারিউপোলের জনজীবন। এমনকি সোমবার যখন রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় দিবস পালন করছে, একই আগ্রহে সেটি মারিউপোলেও পালিত হয়েছে। দলে দলে মানুষ বিভিন্ন উৎসবে যোগ দিয়েছেন। এতে জানানো হয়, মারিউপোলে রুশ বাহিনীর প্রতীক সেন্ট জর্জেস রিবন নিয়ে নিয়ে পদযাত্রা হয়েছে। এক সময় রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই ভ‚খÐই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা ঐতিহাসিক। মারিউপোলে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপনের অনুষ্ঠানে ইউক্রেনীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। মূলত রুশপন্থীরাই এসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। মারিউপোল রাশিয়ার অধীনে থাকলেও রুশ ভাষাভাষী ডনবাস অঞ্চলের অনেক জায়গাই ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। তারা রাশিয়ার বাহিনীকে হটিয়ে আবারও সেখানে ইউক্রেনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে মারিউপোলে। দেখে বুঝার উপায় নেই এখানে কদিন আগে প্রচÐ যুদ্ধ হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে মেলার। সেখানে টিনজাত মাংস সাজানো টেবিল ঘিরে অনুষ্ঠানে আগতদের ভিড় দেখা গেছে। মারিউপোলে অনেক স্থানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকা উড়াতে দেখা গেছে। যারা বয়স্ক তারা অনেকেই সোভিয়েত আমলের কথা ভেবে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। এছাড়া রাস্তায় রুশ সেনাদের দেখাও মিলেছে। তারা রয়টার্সের সাংবাদিককে দেখে হাত নেড়ে অভিবাদনও জানান। রাশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করা দনেৎস্ক অঞ্চলের প্রধান ডেনিস পুশলিন। তিনিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন। মারিউপোলের রাস্তায় রাস্তায় রুশদের জয়ের বিভিন্ন বিলবোর্ড টানানো হয়েছে। ৭৭ বছর আগে এই দিনেই জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে চ‚ড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী। সেটিও স্থান পেয়েছে এসব বিলবোর্ডে। শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও সচেষ্ট দেখা গেছে রুশ বাহিনীকে। ডিডবিøউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।