পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিগত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক রয়েছে সর্বমহলে। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে সরকার দলীয় জোট ও বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। এই নির্বাচনের এখনো দেড় বছর বাকি থাকলেও এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচনের কথা বলছে সরকার দল। এর সাথে সব আসনেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণের কথাও বলা হচ্ছে। তবে সরকার দলের এই ঘোষণাকে সরাসরি না জানিয়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। এসব দলের নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনা এবং ইভিএমে কোনো ভোট হবে না, হতে দেয়া হবে না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন না। সরকার পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়ার পরই নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তা করবেন তারা। এক্ষেত্রে একই সুরে কথা বলছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও ক্ষমতার বাইরে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও বাম দলগুলো।
গত শনিবার আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
এ ছাড়া বিগত দুটি নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচনও ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে এবং এবার সব আসনে ইভিএমে করার বিষয়েও আলোচনা হয়। সরকার দলীয় জোটের রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের অধীনে নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে তবে ইভিএম নিয়ে আরো চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সরকারের এই মনোভাবের ঠিক বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের যে আশ্বাস আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে সেটিকে তারা সরকারের নতুন কৌশল হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। একবার ভোটার ছাড়া, অন্যবার দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর কথায় আস্থা রেখে রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় বসেছিল, কিন্তু সরকার সেবার দিনের পরিবর্তে রাতেই ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করেছে। তাই এবার আর কোনো আশ্বাসে নয়, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, তাদের গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে কোনো ইভিএম নয় ব্যালটেই ভোট হতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো আশ্বাসে, কৌশলে, ফাঁদে এবার তারা আর পা দিবে না। অন্য কোনো পদ্ধতির ভোটেও যাবে না বিরোধী দলগুলো। আর সরকার যদি তাদের এই দাবি না মানে তাহলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কথা জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে আলোচনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তারা (আওয়ামী লীগ) সুন্দর সুন্দর কথা বলে, দেখলে মনে হয়, এদের মতো ভালো মানুষ আর নেই। অথচ তারা ভেতরে-ভেতরে যা করার তা করে। আমি মনে করি, কোনো কথাই হবে না যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে। পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে, নির্বাচনের কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। আর ইভিএম তো পরের কথা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের সংজ্ঞা অনুযায়ী সুষ্ঠু ভোট হলো-সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণকে কাবু করতে সকল শক্তি নিয়োগের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিনা ভোটের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচন। আগামী নির্বাচন ইভিএমে হবে এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকার যে কথা তারা বলেছেন তাতেই আগাম বার্তা জনগণ স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে যে, আগামী নির্বাচন হবে মহাজালিয়াতির ও দস্যুবৃত্তির।
তিনি বলেন, কোনো চক্রান্ত দিয়ে সংগ্রামী জনগণকে নতি স্বীকার করানো যাবে না। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে এবং ব্যালট পেপারই হবে ভোট দানের পদ্ধতি। এই সরকারের পতন অত্যাসন্ন। এই সরকারের পতনের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের জন্য একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, যারা দিনের ভোট রাতে করেছে তাদের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করা যায় না। কারণ গত তিনটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ নির্লজ্জভাবে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাই তারা সহজে ক্ষমতা ছাড়তে চাইবে না। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে তিনি আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে আনার কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে তারা বিদেশি শক্তির কাছে প্রমাণ করতে চায় যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, সব দল অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া বোকামি হবে। এটি দেশকে আরো বিপদে ঠেলে দেবে এবং স্বৈরতন্ত্রকে পাকাপোক্ত করবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না- সেটা প্রমাণিত। সুতরাং নির্বাচনকালে দলীয় সরকারের বদলে নির্দলীয় সরকারই থাকা উচিত। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আরো অনেক শর্ত পূরণ করতে হবে। আমরা সেটার জন্যই লড়াই অব্যাহত রাখব।
তিনি বলেন, নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা না ফিরিয়ে এনে ইভিএম ব্যবহার করা হলে সেটা মানুষের মধ্যে আরো সংশয় ও সন্দেহের সৃষ্টি করবে। এ বিষয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতাও খুব ভালো নয়। ইভিএম থাকলেও দলীয় কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের বাইরে রেখে ভেতরে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ইভিএমের কারসাজির মাধ্যমে এ অবৈধ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার নতুন কৌশল নিচ্ছে। আমরা মানে বিরোধী দল সরকারের এই অপকৌশল বা ফাঁদে কিছুতেই পা দেব না। ইভিএমের মাধ্যমে যে ভোটের কারসাজি হয় তা প্রমাণিত। তাই এ মেশিন দিয়ে ভোটার তার ভোটের অধিকার ফিরে পাবে না। আর এই সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো প্রশ্নই আসে না। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। ইভিএমে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার নতুন ফন্দি করছে সরকার। এর আগে দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতা দখল করেছে। এবার ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু বিরোধীদল সরকারের এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই সফল হতে দেবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো তামাশার নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশ নিবে না। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে এটা বারংবার প্রমাণিত হয়েছে। ইভিএমের বিষয়ে তিনি বলেন, ইভিএম আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত। আর ইভিএময়ের মাধ্যমে সারাদেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এমন কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না। নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করবে এটাই জনগণের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যেও প্রমাণিত হয় তাদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে ২০ দলীয় জোট কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আর ইভিএমের তো প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে, তারাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সেই সরকার ও কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। ফরহাদ বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার ওপর আস্থা রাখুন। আস্থা রেখে বিরোধীদলগুলো সংলাপে অংশগ্রহণ করেছিল, দাবি জানিয়েছিল তার ফলাফল হয়েছে দিনের ভোট রাতে। তাই তাঁর ওপর আর আস্থা রাখা যাবে না।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ইভিএম একটা প্রতারণার মেশিন। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেমন সুইডেন, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ আরো অনেকে ইভিএমে ভোট চালু করেও এখন সেটা বাতিল করছে। এ মেশিনের মাধ্যমে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। বিরোধী দল সেটা হতে দেবে না। ইভিএমে প্রতারণার নির্বাচন বিরোধী দল কখনোই মেনে নেবে না। তাছাড়া এ সরকার বা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনেও কেউ যাবে না। এর আগে দুটি নির্বাচনে শেখ হাসিনা জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন। এখন আর কেউ তাকে বিশ্বাস করে না। এ সরকারের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা দালাল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দালাল ছিল। যারা দেশপ্রেমিক, জনগণের অধিকারের আন্দোলন করে তারা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় দলীয় সরকারের অধীনে দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই। আর জাতীয় নির্বাচনে জবরদস্তি করে ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠানেরও কোনো সুযোগ নেই।
সরকারের অধীনে তবে ইভিএমে না: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের বিষয়টি আলোচনার কথা বলেছেন জোটের নেতারা। ১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার উদ্যোগ গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ঘটনা। বিএনপিরও এটাতে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই জানানো উচিত। সব আসনে ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে তো আমরা আগেই বলেছি- এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। কারণ, এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে। আরেক শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ও আন্তরিকতাকে স্বাগত জানান তিনি। ইভিএমের বিষয়ে বলেন, এত দিন নির্বাচনে ইভিএম সীমিত পরিসরে ও পরীক্ষামূলক ব্যবহার করাতেই অনেক অভিযোগ এসেছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে, এই পদ্ধতির ভোট গ্রহণে ধীরগতি। তাই বিষয়গুলোর সমাধান করেই এর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা উচিত। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ নয়, পরবর্তী নির্বাচন থেকেই তিনশ’ আসনে এ পদ্ধতির প্রয়োগ করতে হবে।
এদিকে দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার উদ্যোগ অবশ্যই স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে অধিকাংশ দল অংশ নিলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা সমালোচনা রয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী দলীয় ফোরামে অবাধ নির্বাচন-সংক্রান্ত যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে ইভিএম-সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন কমিশন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখতে চায় জনগণ। তিনি বলেন, বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ার পরও ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট হয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কাজে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগ্ন ভূমিকা পালন করেছে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ভূমিকা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্নিষ্টদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।