Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

এবার থেকে পাকিস্তানেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি শুরু করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণাও করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এবার থেকে দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিয়মিত নজর রাখবে। কোনও পোস্টে যদিও কারও বিরুদ্ধে অমাননাকর কোনও মত প্রকাশ করা হয়, তাহলে প্রয়োজনের তাতে কাঁচিও চালাতে পারে পাক সরকার। এমনকী, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করা হতে পারে। পাশাপাশি, অশ্লীল বা অশোভন কোনও বিষয়ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না।
সূত্রের খবর, পাক সরকারের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছেন পিএমএল-এন-এর সহ-সভানেত্রী তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভাইঝি মারিয়ম নওয়াজ। তার দাবি, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এমন কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যেগুলো ভুয়া এবং আপত্তিকর। এই ঘটনা নজরে আসার পরই দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন মারিয়ম। সেখানে তিনি একটি অভিযোগও দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে এবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় এফআইএ-কে।
এ প্রসঙ্গে মারিয়ম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে নিশানা করা হচ্ছে। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এখন তারা কী ব্যবস্থা নেয়, তা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝি।
এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য এফআইএ-কে ইতোমধ্যেই একটি নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশিকা হাতে পাওয়ার পরই এফআইএ-এর পক্ষ থেকেও একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য ভুয়ো ছবি, ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি ইতোমধ্যেই এফআইএ-এর নজরে এসেছে। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যাঁরা এইসব কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হাতে এলেই কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। তাদের আইন মেনে শাস্তি দেওয়া হবে। এবং মোটা টাকা জরিমানা করা হবে। তাই আমাদের আবেদন, এই ধরনের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখুন।
তবে, ইতোমধ্যেই এই নির্দেশিকার আওতায় কারো বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, সেটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। অন্যদিকে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়ে গেছে। সমালোচক ও বিরোধীদের অভিযোগ, মানুষের কণ্ঠরোধ করতেই এমন ব্যবস্থা শুরু করছে পাক সরকার। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ