Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পটুয়াখালীর বাজারে বোতলজাত সয়াবীন তেল উধাও,খোলা তেলের উর্ধ্বমূল্য

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ৬:৪৩ পিএম

পটুয়াখালীর বাজারগুলিতে নেই কোন ব্রান্ডের বোতলজাত সয়াবীন তেল।আজ দুপূরে পটুয়াখালীর সবচেয়ে বড় বাজার নিউমার্কেটের পাইকারী বড় দোকান থেকে শুরু করে ছোট কোন দোকানেই বোতলজাত সয়াবীন তেল পাওয়া যায়নি। এ সময় বেশ কিছু দোকানে খোলা পামঅয়েল যা সুপার নামে পরিচিত এবং লুজ সয়াবীন নামে পরিচিত সয়াবীন তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে বোতলজাত সয়াবীন তেলের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী মূল্যে।
নিউমার্কেটের মুদী দোকানী নাসির জানান,পাইকারী দোকান থেকে সুপার অয়েল ১৯৫ টাকায় কিনে ২০০ টাকায় এবং লুজ সয়াবীন ২০৬ টাকায় কিনে ২১০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানদারা।বোতলজাত সয়াবীন তেল যা ছিল ঈদের সময় তা সব বিক্রি হয়ে গেছে,একই কথা একাধিক মুদী দোকানদারের। এছাড়াও তারা জানান,ঈদের আগইে কোম্পানী থেকে কম তেল সরবরাহ করা হচ্ছিল,চাহিদা অনুযায়ী তারা তেল পাননি কোম্পানীর এজেন্টদের কাছ থেকে।এদিকে একদিকে ঈদের পরপরই সয়াবীন তেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধি,অন্যদিকে ব্যাংকগুলি বন্ধ থাকায় কোম্পানীতে এজেন্টরা টাকা পাঠাতে না পারার কারনে সাময়িক ভাবে বোতলজাত তেলের সংকটের সুযোগে খোলা তেল বেশী দামে বিক্রী হচ্ছে।
পটুয়াখালীতে ফ্রেশ ব্রান্ড সয়াবীন তেলের এজেন্ট মো: রনি জানান,রোজার প্রথম দিকে দেয়া টাকার মালামাল দেয়া হয় কোম্পানী থেকে ৭ থেকে ১০ দিন পরে।ঈদের একসপ্তাহ আগ থেকে কোম্পানী টাকা নেয়া বন্ধ করে দেন,যার ফলে ঈদের সময় চাহিদা অনুযায়ী তেল তারা বাজারে সরবরাহ করতে পারেননি।বর্তমানে তাদের কাছে কোন বোতলজাত তেল নেই,ব্যাংক খুললে নতুন রেটের মালামাল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এছাড়াও তীর ব্রান্ড তেলের এজেন্ট মৃত সুবল দাসের ভাই শেখর দাস জানান,কোম্পানী থেকে তেলের সাথে অন্য মালামাল যেমন তীর কোম্পানীর পানি,চাপাতা ,মিনিকেট,চিনি গুড়া চাল, মুড়ি,আটা,ময়দা,সুজি,হালিম,ফিরনী মিক্স্র ,চিনি আনার শর্তে সরবরাহ করবেন বলে তাদেরকে কোম্পানীর প্রতিনিধি জানিয়েছেন ।এখন তারা দ্বিধাদ্বন্দে আছেন টাকা পাঠাবেন কিনা নতুন করে তেল আনতে,কেননা শর্তের ঐ সকল মালামাল বিক্রি করা তাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যায়।তিনি আরোও জানান,ঈদকে সামনে রেখে রোজার শুরুতে ৬ এপ্রিল তিনি কোম্পানীতে চাহিদা দিয়েছিলেন তেলের জন্য তখনই তাদেরকে কোম্পানীথেকে ঐসব মালামালের শর্তআরোপ করা হলে তিনি আর টাকা পাঠাননি । যার ফলে রোজার শুরুর দিকে তাদের কাছে মজুদকৃত মালামাল দিয়ে বাজারের চাহিদা পূরন করতে পালেও ঈদের বাজারে কোন তেল তারা বিক্রী করতে পারেননি।
বাজারে ক্রেতা খোকন দাস জান, কোন দোকানেই বোতল জাত সয়াবীন তেল পাওয়া যাচ্ছেনা। খোলা তেল বিক্রী হচ্ছে বোতলজাত তেলের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী মূল্যে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ