পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চরম উদাসীনতার দরুন চলতি বছরের হজ প্যাকেজ এখনো ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। ১৪৪৩ হিজরী সনের হজ ব্যবস্থাপনার পুরো কাজই বাকি। অনলাইন সার্ভারে হাজী ট্রান্সফার কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। হজ প্যাকেজ ঘোষিত না হওয়ায় বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো হজযাত্রী সংগ্রহ করতে পারছে না। ফলে হজযাত্রীদের থেকে টাকাও সংগ্রহ হয়নি। এতে হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার শঙ্কা করছে অনেকে। আগামী ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা। হজ ফ্লাইট শুরুর বাকি আছে মাত্র ২৫ দিন। তবে এখনো সউদী অংশের খরচের তালিকা দেয়নি দেশটি।
হজ প্যাকেজ ঘোষিত না হওয়ায় বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো নিজস্ব হজ প্যাকেজ ঘোষণা এবং মক্কা মদিনায় হাজীদের বাড়ি ভাড়া করতে যেতে পারছে না। সউদী মোয়াল্লেমও ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না। হজ প্যাকেজ কবে নাগাদ ঘোষণা করা হবে এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও কোনো সঠিক জবাব পাচ্ছে না হজ এজেন্সিগুলো। নির্ধারিত সময়েই হজ ফ্লাইট শুরু হবে জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সউদী আরবের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা হতে পারে হজ প্যাকেজ।
রাতে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ইনকিলাবকে বলেন, হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফলে আগামী ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরু করা সম্ভব হবে না। হাব সভাপতি বলেন, দ্রুত হজ প্যাকেজ ঘোষণার দাবি জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হাবের পক্ষ থেকে জরুরি চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাজী ট্রান্সফার কার্যক্রম চালুর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনলাইন সার্ভার খুলে দেয়ার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
হাবের ইসির সদস্য মুফতি জাহিদ আলম গতকাল শুক্রবার ইনকিলাবকে জানান, হজ প্যাকেজ এখনো ঘোষিত না হওয়ায় নির্ধারিত তারিখে হজ ফ্লাইট শুরু অসম্ভব হয়ে পড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হজের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় হজযাত্রী সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। অনলাইন সার্ভার ওপেন না করায় হাজী ট্রান্সফার বন্ধ রয়েছে। এসব কাজ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু সার্ভার ওপেন না করায় হাজী ট্রান্সফার করতে না পেরে এজেন্সিগুলো চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।
করোনার মহামারি কারণে ২ বছর সউদী আরবের বাইরে থেকে কেউ হজ করতে পারেনি। এবছর শেষ সময়ে এসে ১০ লাখ মানুষের হজের সুযোগ দিয়েছে সউদী আরব। সউদী নীতিমালা অনুযায়ী এবার হজে ৫৭ হাজার হজযাত্রী যাবে বাংলাদেশ থেকে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি না হলে ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারতেন। চলতি বছর হজ পালনের ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের নিচে হতে হবে। পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নেয়া থাকতে হবে। এছাড়া হজ পালনের জন্য সউদী আরবের উদ্দেশে যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। হজ পালনের সময়ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে সউদী আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।