রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। তাদের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের কুড়ারঘাট এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আব্দুর রহমান নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা বাহার মিয়া বলেন, আমার ছেলে একটি কারখানায় কাজ করতো। রাতে কাজ শেষ করে কামরাঙ্গীরচরের কুড়ারঘাট এলাকায় একটি মেলায় যায়। সেখানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, তাদের বাসা লালবাগের শহীদ নগর ২ নং গলি এলাকায়।
কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মো. কবীরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে গিয়ে নিহতের মরদেহ দেখতে পাই। এরপর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করি। তার বুকের ডান পাঁজরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের বাবার কাছ থেকে জানতে পারি কুড়ারঘাট এলাকায় একটি মেলা হচ্ছিল। আব্দুর রহমান সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। বিস্তারিত পেলে পরে জানানো হবে।
এদিকে, একই রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রাস্তা পার হতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. রনি চৌধুরী (৪০) নামের একটি বাস সুপারভাইজার নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের খালাতো ভাই হিরা বলেন, রনি একটি গাড়ির সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাতে মাতুয়াইল মেডিকেলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় একটি দ্রুতগামী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, নিহত রনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার শান্তিধারা এলাকার মৃত মতিন চৌধুরীর ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।