নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এ মুহ‚র্তে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সপ্তম, ওয়ানডেতে অষ্টম, টি-টোয়েন্টিতে নবম। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা অনেক দিন ধরেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের কড়া সমালোচক। তিনি মনে করেন, দেশের ক্রিকেটের এ অবস্থার জন্য দায়ী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটই। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড তার চোখে দেশটির সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা।
এক সময় সীমিত ওভারের সংস্করণে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল ছিল শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ দেশটি জিতেছিল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে। অরবিন্দ ডি সিলভা, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, রোশান মহানামা, সনাথ জয়াসুরিয়া, অশঙ্কা গুরুসিংহে, চামিন্ডা ভাস, মুত্তিয়া মুরালিধরনরা ঝড় তুলেছিলেন ক্রিকেট দুনিয়ায়। এর পর মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, লাসিথ মালিঙ্গারা লঙ্কান ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়েছেন। টানা দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দলটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছে।
শ্রীলঙ্কার সেই রমরমা অবস্থা এখন আর নেই। সাঙ্গাকারা, মালিঙ্গা, মুরালিধরন, জয়াবর্ধনেদের বিদায় যে লঙ্কান ক্রিকেটে এমন বিপর্যয় নিয়ে আসবে, সেটা কে ভেবেছিল। এ মুহ‚র্তে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। একই সঙ্গে চলছে খাদ্য সংকট। ঋণ শোধ করতে না পারায় অনেক বড় স্থাপনা চলে গেছে বিদেশিদের দখলে। দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভও চলছে আর্থিক অব্যবস্থাপনার জন্য। তবে রানাতুঙ্গা মনে করেন সরকারের চেয়েও দুর্নীতিপরায়ণ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। তার মতে, ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিটি পদে বসে আছেন যারা, তারা সবাই ‘চোর’, ‘দেশের ক্রিকেট চলছে অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। চরম অপেশাদারিভাবে। সে কারণেই দেশের ক্রিকেটে এত সংকট। ক্রিকেটের অবস্থা এত খারাপ। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ সংস্থা হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড।’
এ মুহ‚র্তে ভারত সফরে আছেন রানাতুঙ্গা। সেখানে বোর্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সমালোচনা করতে কোনো রাখঢাক রাখেননি লঙ্কান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকা, ‘তারা সবকিছু গুবলেট করে ফেলেছে। বোর্ডে ক্রিকেট চালানোর জন্য কোনো পেশাদার ব্যক্তি নেই। শ্রীলঙ্কা যথেষ্ট ক্রিকেটারই তৈরি করে। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিভা আমরা ধরে রাখতে পারছি না। এটা একটা বড় সমস্যা।’
শ্রীলঙ্কা বোর্ডের সমস্যার কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রানাতুঙ্গা যা বলেছেন, সেটা হয়তো অন্য কিছু ক্রিকেট বোডের্র ক্ষেত্রেও খাটে, ‘নির্বাচনের সময় এলে দেখবেন ১৪৩-১৪৪জন ভোটার। পুরো ব্যাপারটাই অর্থের লেনদেনের ওপর চলে। ২০১৫ সালের পর যারা ক্রিকেট চালাচ্ছে, তারা সব এলোমেলো করে ফেলেছে। এ মুহ‚র্তে আমাদের একজন ভালো ক্রীড়ামন্ত্রী দরকার, যিনি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন। পুরো বিষয়টা গোছাতে পারবেন। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে শ্রীলঙ্কায় সব চোররা ক্রিকেট বোর্ডের পদগুলো দখল করে নিচ্ছে। এটা শ্রীলঙ্কায় অতীতেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও এমনটা হতেই থাকবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।