Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিমুলিয়া ঘাটে ভোর থেকেই ঘরমুখো মানুষের ঢল, পারাপারে অপেক্ষায় তিন হাজার মটরসাইকেল

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৪:০৫ পিএম

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদ ছুটির দিতীয় দিনেও সকাল থেকে ফেরিতে ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।অতিরিক্ত যাত্রী ও কয়েক হাজার মোটরসাইকেলের চাপে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ফেরি ঘাট এলাকা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট-বড় যানবাহন,পিকআপ,অটোরিক্সা ও মটরসাইকেল করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অনেকে পায়ে হেটে শিমুলিয়া পর্যন্ত এসে ফেরি,লঞ্চ, স্পিডবোটে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। তারা অপর প্রান্তে গিয়ে আবারও গাড়িতে উঠছে। তাই লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেই ঘাট ছাড়ছে।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার( ৩০ এপ্রিল) সাহরির পর থেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে ভিড় করে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সংঙ্গে ফেরি ঘাট এলাকায় চাপ কিছুটা কমতে থাকে। বিকেলে যাত্রী যানবাহনে আরোও চাপ বাড়তে পারে যানা গেছে। এ ছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে মানুষ গাদাগাদি করে লঞ্চ ও স্পিডবোটে উঠছে। তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লঞ্চ স্পিডবোটে পদ্মা পার হচ্ছে।
মাদারীপুরের শিবচরগামী যাত্রী মো. সেলেমান জানান, ৩ ঘণ্টা হয় মোটরসাইকেল নিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থেকে এখন ফেরিতে উঠলাম। নারী যাত্রী রাবেয়া বেগম জানান, মেয়ে ও নাতনীকে নিয়ে খুলনা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। লঞ্চ ও বোটে যেতে ভয় লাগে তাই ফেরি দিয়ে পার হচ্ছি।
লঞ্চঘাটে যাত্রী শরিফ জানান, পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি ঘাটে এসেছি আধা ঘণ্টার বেশি হয়েছে। গাদাগাদি করে লঞ্চের লাইনে দাঁড়িয়ে এগোচ্ছি।
এদিকে শিমুলিয়া ২ ও ৩ নং ফেরিঘাট দিয়ে ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। ওই সব ঘাটে মানুষের তেমন কোনো ভিড় নেই বললেই চলে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় তিন হাজার মটরসাইকেল ও দুই শতাধিক গাড়ি রয়েছে।
বিআইডব্লিটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সকাল থেকেই এ ঘাট থেকে ৮৫টি লঞ্চ এবং ১৫৫টি স্পিডবোট চলছে। ঘাটে প্রচণ্ড যাত্রী চাপ রয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (আইসি) জিয়াউল হায়দার জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য ঘাটে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের অত্যধিক চাপ রয়েছে। তবে আমাদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পারাপার চলছে। ঘাটে তিনশ' পিকাপ রয়েছে, তবে এখন সেগুলো পারাপার করা হচ্ছে না। যাত্রী, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ফেরিঘাটগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় তিন হাজারের বেশি মোটরসাইকেল এবং চার শতাধিক প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস রয়েছে। দুই রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ