Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খুলনায় কথিত গুম বেসরকারি চাকুরে ১৫ মাস পর উদ্ধার, ছিলেন স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ২:৫৯ পিএম | আপডেট : ৩:০০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার মো. রফিক হোসেন ওরফে পল (৩২)। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে করোনার কারণে চাকরি হারান। এরপর পারিবারিক চাপে পড়ে যান। গত বছর জানুয়ারিতে হতাশা থেকে মুক্তির জন্য আত্মগোপন করেন ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সেই রফিক হোসেনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের শাহীন বিচ থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে র‌্যাব-৬ এর একটি টিম।

আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব-৬ এর কাযর্লায়ে ওই ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমেদ বলেন, সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম করার বিভিন্ন অপপ্রচার প্রতিরোধে ও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বিভিন্ন নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করে র‌্যাব-৬ এর সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল। এরই অংশ হিসেবে আভিযানিক দলটি গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিখোঁজ ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক বলেন, রফিক নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। দীর্ঘদিন না পেয়ে তাঁকে অপহরণ করে গুম করা হতে পারে এমন গুজবও ছড়ানো হচ্ছিল। ব্যাপারটি তদন্তে নেমে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রফিকের অবস্থান শনাক্ত করেন। পরে কক্সবাজারের শাহিন বিচ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক জানিয়েছেন, চাকরি হারানোর পর হতাশা থেকে মুক্তির জন্য তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। এ সময় তিনি প্রথমে ঢাকায় ৭ মাস মাস্ক বিক্রয় করেন। তিন মাস ঢাকা সদরঘাটে হকার হিসেবে খেলনা বিক্রি করেন। মুন্সিগঞ্জেও ৯ দিন হকারি করেছিলেন। নারায়নগঞ্জে ৫ মাস টোকাই হিসেবে পুরোনো বোতল ও লোহা কুড়িয়ে বিক্রি করেন। সর্বশেষে কক্সবাজার শাহিন বিচের ইউনুসের চায়ের টং দোকানে মাসিক ৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন।
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রফিককে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ। ব্রিফিংয়ে সদর কোম্পানী কমান্ডার এসপি আল আসাদ বিন মাহফুজ ও সহ কমান্ডার লেঃ আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
রফিক হোসেনের নিখোঁজের ঘটনায় গত বছরের ১৩ জানুয়ারি মোছা. মঞ্জুরা বেগম বাদী হয়েছে সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি রফিক হোসেন। ওই সময় থেকে রফিকের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাঁরা রফিকের সন্ধান পাননি। এরপর পরিবার দাবি করেন, তাকে গুম করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ